গ্রাম বাংলা ডেস্ক: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বেঈমানি করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরশাদের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, দেশে নতুন মুক্তিযোদ্ধার আবির্ভাব হয়েছে। তিনি হলেন এরশাদ। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে ছিলেন। সেখান থেকে দেশে ফেরার পর তাকে সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ করা হয়েছিল। পরে জিয়াউর রহমান তাকে সেনাবাহিনীর প্রধান করেছিলেন। এরশাদ পরে বেঈইমানি করেছেন। আজ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা আলমগীর বলেন, এরশাদের মুখে জিয়াউর রহমানের সমালোচনা শোভা পায় না। জিয়াউর রহমানের বদান্যতায় সেনাপ্রধান হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জিয়াউর রহমানের মৃত্যুতে এরশাদের ভূমিকা কি ছিল তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। এরশাদকে উদ্দেশ্য করে মির্জা আলমগীর বলেন, দয়া করে বিরত থাকবেন। অযথা নিজেকে আর ছোট করবেন না। ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের দেয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা আলমগীর বলেন, সংবিধান অনুযায়ী চাকরি ক্ষেত্রে কোন বৈষম্য হবে না। অথচ, এখন ছাত্রলীগ দেখে চাকরি দেয়া হচ্ছে। এটি সংবিধানের লঙ্ঘন। সুপারিশ না থাকলে, ছাত্রলীগ না করলে বিসিএসসহ সরকারি কোন চাকরি পাওয়া যায় না। চাকরি হলে যাচাই-বাছাই করা হয়, প্রার্থীর গোষ্ঠীতে কেউ বিএনপি বা বিরোধী রাজনীতি করে কি না। করলে চাকরি হবে না। ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ, অর্থবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।