কুমিল্লায় পুলিশের ওপর বোমা ছোড়ে জঙ্গিরা

Slider রাজনীতি রাজশাহী সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

images

 

 

 

 

 

কুমিল্লায় একটি বাসে করে যাচ্ছিল জঙ্গিরা। বাসকে চ্যালেঞ্জ করলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। পুলিশ ভয়ে দৌড়ে না পালিয়ে জনগণের সহায়তায় তাদের ধরে ফেলেছে।

কুমিল্লায় পুলিশ সদস্যদের ওপর ‘জঙ্গি’দের বোমা হামলার বিষয়ে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহীতে নবনির্মিত পবা থানা ভবনের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের নানা জবাব দেন। এ সময় কুমিল্লার ওই ঘটনার কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমরা বলিনি জঙ্গি নির্মূল করেছি, শিকড় উপড়ে দিয়েছি এটা বলিনি। আমরা বলছি আমরা নিয়ন্ত্রণ করেছি।’ জঙ্গিবাদকে দেশের বিরুদ্ধে, ইসলামের বিরুদ্ধে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘কাজেই এরা (জঙ্গি) বসে থাকবে না, এরা মাঝেমধ্যেই আত্মপ্রকাশ করবে। আমরা মনে করি, জনগণ যখন আমাদের সঙ্গে আছে, কেউ আমাদের অগ্রযাত্রাকে রুখতে পারবে না।’

জঙ্গিনেতা মুফতি হান্নানকে বহনকারী বাসে হামলার কথা স্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ বাহিনীর সতর্কতার জন্য বোমা বহনকারীদের পুলিশ ধরে ফেলেছে জনগণের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায়।’ কুমিল্লায় পুলিশ সদস্যদের ওপর বোমা হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একটি বাসে করে জঙ্গিরা যাচ্ছিল, হাইওয়ে পুলিশ যখন বাসকে চ্যালেঞ্জ করে বসে, তখন তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে। আমাদের পুলিশ কিন্তু ভয়ে দৌড় দেয়নি। চ্যালেঞ্জ করে তাকে ধরেছে এবং যারা পালিয়ে যেতে চেয়েছিল, তাকে পুলিশ বাহিনী এবং ওখানকার জনগণ ধরেছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যখন জনগণ আছে, আমাদের পুলিশ যখন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ; আমাদের পুলিশ যখন রক্ত দিতে শিখেছে—জঙ্গির ভয়, সন্ত্রাসের ভয় আর পেতে হবে না।’ দেশব্যাপী কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সাংসদ আয়েন উদ্দিন ও রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি এম খুরশীদ হোসেন।

পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজশাহী নগরের শাহ মখদুম থানার নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন। সেখানে আয়োজিত সুধী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নগর পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নগর সভাপতি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী-আসনের সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী, সংরক্ষিত আসনের সাংসদ আখতার জাহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পবা ও শাহ মখদুম থানা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে পবা থানা কমপ্লেক্সের নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ছয় কোটি টাকা। শাহ মখদুম থানা কমপ্লেক্স ও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় আট কোটি টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *