এম এ কাহার বকুল; লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ, লালমনিরহাটের আদিতমারী থানা পুলিশ প্রেমিকের বাড়িতে অনশনরত প্রেমিকাকে থানায় নিয়ে এসে বড্ড বিপাকে পড়েছে ।
আজ রোববার (২৬ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যা ৬টায় আদিতমারী থানার ওসি’র রুমে কান্না করতে দেখা গেছে এক কলেজ ছাত্রীকে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের মদনপুর ফকিরটারী এলাকার প্রভাবশালী দেলোয়ার হোসেনের ছেলে জালাল উদ্দিন (২৩) ওই এলাকার উত্তর তালুক পলাশী গ্রামের এক কলেজ পড়ুয়া মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ সম্পর্ক এক পর্যায়ে দৈহিক সম্পর্কে রুপ নেয় এবং কলেজ ছাত্রী দুই মাসের অন্তসত্তা হলে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। কিন্তু প্রেমিক জালাল কাল বিলম্ব করে অন্যত্র বিয়ের চেষ্টা করে। এমন খবরে শনিবার (২৫ফেব্রুয়ারী) সকালে বিয়ে ও পেটের সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে প্রেমিক জালালের বাড়িতে অনশন শুরু করেন কলেজ ছাত্রী। মেয়েটি অবস্থানে বিপদ মনে করে বাড়ির সবাইকে নিয়ে অনত্র পালিয়ে যায় প্রেমিক জালাল উদ্দিন। এদিকে রোববার (২৬ফেব্রুয়ারী) সকালে আদিতমারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে থানায় নিয়ে আসেন। সেখানে দিনভর বুঝিয়েও মেয়েটিকে শান্ত করতে না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন আদিতমারী থানা পুলিশ। মেয়েটি ওসি’র কক্ষে বসে শুধুই কান্না করছেন আর আত্মহত্যার হুমকি দিচ্ছেন। এ সময় মেয়েটি জানান, তার পেটের সন্তানের পিতৃ পরিচয় ও বিয়ের দাবিতে প্রেমিক জালালের বাড়িতে শান্তিপুর্ন ভাবে অবস্থান নিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু বেরসিক পুলিশ তাকে জোরপুর্বক থানায় তুলে এনেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ জোর করে থানায় নিয়ে এসেছ, পুলিশই আমার সন্তানের বাবাকে এনে দিবে, নয়তো আমি থানায় আত্মহত্যা করব’। মেয়েটির এমন অব্যহত হুমকি আর কান্নায় বড্ড বিপাকে পড়েছেন থানা পুলিশ। মেয়েটির কান্না সহিতে না পেয়ে ওসি কক্ষ থেকে বেড়িয়ে পড়েছেন। একাধিক বার ওই এলাকায় অভিযান চালিয়েও লম্পট প্রেমিক জালাল বা তার পরিবারের কাউকে পাওয়া সম্ভব হয় নাই। আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেশ্বর রায় জানান, মেয়েটি ওই বাড়িতে নিরাপদ ছিল না, তাই থানায় নেয়া হয়েছে। কয়েক বার অভিযান চালিয়েও ছেলে বা তার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। মেয়েটির কান্না থামানোও সম্ভব হচ্ছে না। তবে মেয়েকে শান্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।