পরিবহন শ্র​মিকদের ধর্মঘট, মানুষের ভোগান্তি

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

93ae2aaee99d92b6f5cdee186f5b9283-58b2735d504e2

ডেস্ক;  বাস চালকের সাজার প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক কমিটির ডাকে ধর্মঘট শুরু হয়েছে। কমিটির সভাপতি আজিজুল আলম  বলেন, সকাল ছয়টা থেকে কর্মসূচি শুরু হয়েছে। খুলনা বিভাগের ১০ জেলার কোথাও থেকে যাত্রী বা পণ্যবাহী কোনো পরিবহন ছেড়ে যায়নি। তবে বিভাগের বাইরে থাকা পরিবহন প্রবেশ করতে পারছে। খুলনা জেলা বাস মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেনও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।খুলনা বিভাগের সবচেয়ে বড় বাস টার্মিনাল সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, গতকাল শনিবার রাতে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা গাড়িগুলো সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করানো। সেখানকার অনেক যাত্রীকে স্ট্যান্ডে এসে ফিরে যেতেও দেখা গেছে।

খুলনা শহরের অন্যতম বড় বাস কাউন্টার রয়েল মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে একটি বাসও নেই। তবে অনেক যাত্রী আছেন। যাত্রীদের একজন খুলনার দিঘলিয়ার গাজীরহাটের আব্দুর রহিম বলেন, পরিবারের চারজনসহ সকালে ১৫০ টাকা খরচ করে অটোরিকশায় করে খুলনা এসেছি নারায়ণগঞ্জে যাওয়ার জন্য। এসে দেখি বাস নেই। এখন ছোট বাচ্চা নিয়ে আবার টাকা খরচ করে ফিরে যেতে হবে।

সেখানকার ট্রাভেলস পরিবহনের কাউন্টার ইনচার্জ মো. নাসির উদ্দীন বলেন, গতকাল অনেকে টিকিটের টাকা ফেরত নিয়ে গেছে। ধর্মঘট না জেনে আজও অনেকে আসছে টিকিট কাটতে। কিন্তু টিকিট দিতে পারছি না। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য একটি পরিবহনের কাউন্টার ইনচার্জ বলেন, আদালতের রায়ে সাজা হয়েছে চালকের। আইনি প্রক্রিয়ায় মাধ্যমেই বিষয়টা সুরহা করা উচিত। যাত্রীদের জিম্মি করাটা ঠিক হচ্ছে না।

পরিবহন ধর্মঘটের কারণে যাত্রীদের বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। ছবিটি খুলনার সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তোলা। ছবি: সাদ্দাম হোসেনসকাল থেকেই শহরে কোনো গণপরিবহন এবং থ্রি হুইলারও চলছে না। ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারেও কয়েক জায়গায় বাধা পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে সাধারণ মানুষ এবং শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বেড়েছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী সাবিকুন নাহার মুন্না জানান, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরের ফুলবাড়িগেট এলাকা থেকে প্রতিদিন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। কিন্তু গণপরিবহন ও থ্রি হুইলার না পাওয়ায় ক্যাম্পাসে যাওয়া নিয়ে তিনি ভীষণ চিন্তিত।

প্রথম আলোকে বলেন, সকাল ছয়টা থেকে কর্মসূচি শুরু হয়েছে। খুলনা বিভাগের ১০ জেলার কোথাও থেকে যাত্রী বা পণ্যবাহী কোনো পরিবহন ছেড়ে যায়নি।

যশোর শহরের খাজুরা বাসস্ট্যান্ডে একটি পরিবহন কোম্পানির কাউন্টার ইনচার্জ জসিম উদ্দিন বলেন, ঢাকার উদ্দেশে তাদের কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। যেসব যাত্রীরা টিকিট কেটে ছিলেন, তাঁরা টাকা ফেরত নিয়েছেন।

জামিরের মুক্তির দাবিতে রায় ঘোষণার দিন থেকেই চুয়াডাঙ্গায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মাগুরা, মেহেরপুর ও কুষ্টিয়াতেও ধর্মঘট শুরু হলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *