দ্বিতীয় ঘরটিও ভাঙলো কন্ঠশিল্পী হাবিবের

Slider বিনোদন ও মিডিয়া

54345_f5

 

ঢাকা; ঘর ভাঙার যেন হিড়িক পড়েছে শোবিজে। সম্প্রতি কাছাকাছি সময়েই ঘর ভেঙেছে সংগীতশিল্পী সালমা ও অভিনয়শিল্পী
সারিকার। এবার সে তালিকায় যোগ হলো দেশীয় সংগীতাঙ্গনের হার্টথ্রব শিল্পী ও সংগীত পরিচালক হাবিব ওয়াহিদের নাম। গত কিছুদিন ধরেই তার ঘর ভাঙার খবর হাওয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছিল। শুধু তাই নয়, স্ত্রী রেহানের সঙ্গে এ শিল্পীর চূড়ান্ত বিচ্ছেদ হয়ে গেছে বলেও গতকাল সকাল থেকে খবর চাউর হয়েছে একাধিক গণমাধ্যমে। বিষয়টি নিয়ে হাবিবের মতামত জানতে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। বেলা গড়িয়ে যখন বিচ্ছেদের খবরটি টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয় ঠিক তখনই দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে এর সত্যতা স্বীকার করে হাবিব নিজেই ফেসবুকে এ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লিখেন, ‘গত ১৯শে জানুয়ারি দুর্ভাগ্যক্রমে আমার এবং রেহানের সমঝোতামূলক বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। আসলে মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কে টানাপড়নের ঘটনা নতুন কিছু নয়। আমাদের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম কিছু নয়। ৫ বছরে আমরা একে অপরকে জানার সময় পাই। ক্রমে বুঝতে পারি যে, আমাদের লাইফস্টাইল ভিন্ন ও একপর্যায়ে আমরা দু’জনেই এটা উপলব্ধি করি যে আলাদা হয়ে যাওয়াটাই আমাদের দু’জনের শান্তিপূর্ণ জীবন যাপনের জন্য সবচেয়ে উত্তম সমাধান।’ হাবিব আরো লিখেন, ‘আমাদের একটি পুত্র সন্তান আছে যার নাম আলীম ওয়াহিদ। অবশ্যই তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং সুন্দর মানসিক বিকাশের কথা সর্বাধিক গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে আমি সবসময় চাইবো আমার ও রেহানের মধ্যে সবসময় একটি পারস্পরিক সম্মানজনক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকুক।’ উল্লেখ্য, শিল্পী জীবনের প্রথমদিকে ২০০৩ সালে লুবায়না নামের এক নারীর সঙ্গে প্রেম হয় হাবিবের। সে সূত্রে তাকে বিয়েও করেন জনপ্রিয় এ শিল্পী। তবে সুখী হতে পারেননি হাবিব। কিছুদিন পর সেই সংসার ভেঙে যায়। এরপর অনেকটা সময় একাকী কাটান তিনি। অবশ্য এক মডেল-অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রেমের কথা শোনা যায় এ তারকার। তারপর তিনি ২০১১ সালের ১২ই অক্টোবর পারিবারিক সিদ্ধান্তে চট্টগ্রামের মেয়ে রেহানকে বিয়ে করেন। এই সংসারে হাবিবের আলিম ওয়াহিদ নামে এক ছেলে সন্তান রয়েছে । দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে সংসার জীবন ভালোভাবেই কাটাচ্ছিলেন হাবিব। কিন্তু হঠাৎ ভাঙনের ঝড় এসে আঘাত হানলো সে সংসারে। উল্লেখ্য, ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এ পর্যন্ত অনেক শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন হাবিব। বিশেষ করে সংগীতে পথচলার শুরুর সময় থেকে আজ পর্যন্ত নিজের সফলতা একইভাবে ধরে রেখেছেন এ তারকা। সিনিয়র থেকে চলতি প্রজন্মের শিল্পীরা তার গানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। চলচ্চিত্রের গানে হাবিব যেমন সরব তেমনি অডিওর গানেও। তবে নিজের মনের মতো হলেই কোনো কাজ তিনি করে থাকেন। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যের চেয়ে মানের দিকটাকেই বেশি গুরুত্ব দেন। আর মানই হাবিবের সফলতার অন্যতম কারণ। সব মিলিয়ে এখনো গান নিয়ে তার ব্যস্ততা চলছে নিয়মিত। ক্যারিয়ারে হাবিব অসংখ্য হিট অ্যালবাম উপহার দিয়েছেন। সে সঙ্গে সংগীত পরিচালনায়ও সফল এ শিল্পী। তার প্রথম লোকসংগীতের রিমিক্স অ্যালবাম ‘কৃষ্ণ’। লন্ডনে ছাত্র থাকাকালীন এটি প্রকাশ হয়। এরপর থেকে হাবিব ‘মায়া (২০০৪) ও ‘ময়না গো’ (২০০৫) নামে আরো দু’টি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। দু’টোই শ্রোতাপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে আসে তখন। হাবিবের উল্লেখযোগ্য অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘শোন’ (২০০৬) ‘পাঞ্জাবীওয়ালা’ (২০০৭), ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’ (২০০৮), ‘এই তো প্রেম’ (২০০৮), ‘চন্দ্রগ্রহণ’, ‘হৃদয়ের কথা’ (২০০৮), ‘অবশেষে’ (২০০৮), ‘প্রজাপতি’ (২০১০), ‘আহ্বান’ (২০১১), ‘বলছি তোমাকে’ (২০১২), ‘রঙ’ (২০১২), স্বাধীন (২০১২), ‘তুমি সুন্দর মেঘমালা’ (২০১২)। এছাড়া বিভিন্ন সময় ইউটিউবে একক গান দিয়ে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন এ শিল্পী। সর্বশেষ গেল বছর ‘মনের ঠিকানা’ গানটি দিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *