ডেস্ক; যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে কম রেটিংয়ে অবস্থান করছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম এক মাসে জনপ্রিয়তায় অতীতের সব প্রেসিডেন্টের চেয়ে তলানিতে অবস্থান করছেন তিনি। নতুন এক জরিপে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম এক মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের গড় রেটিং বা জনপ্রিয়তা হলো শতকরা ৬১ ভাগ।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবস্থান করছেন শতকরা ৪০ ভাগে। অর্থাৎ অন্যান্য প্রেসিডেন্টদের তুলনায় তিনি গড়ে ২১ ভাগ জনপ্রিয়তায় পিছিয়ে আছেন। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। এতে বলা হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত সংস্থা গ্যালাপ ওই জরিপ পরিচালনা করেছে। এতে ১৫২৭ জন মার্কিন নাগরিকের ওপর জরিপ পরিচালনা করা হয়। এতে বলা হয়েছে, মধ্য ফেব্রুয়ারিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অন্য নেতাদের চেয়ে শতকরা ১১ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েছেন। এর আগে ক্ষমতার মেয়াদের পথম মাসের শেষ দিকে জনপ্রিয়তায় সর্বনিন্নে ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। তার জনপ্রিয়তা ছিল শতকরা ৫১ ভাগ। তবে জনপ্রিয়তার সর্বনি¤œ রেটিংয়ের একটু উপরে ছিলেন আরেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান। এ পর্যায়ে তার জনপ্রিয়তা ছিল শতকরা ৫৫ ভাগ। ওদিকে ক্ষমতা গ্রহণের সময়ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা ছিল সর্বনিম্নে। তা ছিল শতকরা ৪৫ ভাগ। সংখ্যাগরিষ্ঠের অনুমোদনের নিচে থেকে তিনিই প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। তবে হোয়াইট হাউজে প্রথম মাসে জনপ্রিয়তা শুধু তার একারই কমে নি। এ তালিকায় আরও আছেন। ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম মাসে উল্লেখযোগ্য হারে জনপ্রিয়তা কমে যায় সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও বারাক ওবামার। গ্যালাপ রেকর্ড অনুযায়ী বিল ক্লিনটনের জনপ্রিয়তা কমে যায় শতকরা ৭ ভাগ। এটিই তখন সবচেয়ে বেশি পরিমাণ জনপ্রিয়তা কমে যাওয়া। তবে প্রেসিডেন্সির প্রথম মাসে জনপ্রিয়তা শতকরা ৭০ ভাগের ওপরে পেয়েছিলেন দু’জন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার একজন হলেন জন এফ কেনেডি। অন্যজন জিমি কার্টার। রিয়েল এস্টেটের সাবেক ব্যবসায়ী ডনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তাকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সহ সারা দুনিয়ায় আলোচনা, সমালোচনা। তবে বহুল বিতর্কিত মুসলিম বিরোধী নির্বাহী আদেশ তার জনপ্রিয়তার বেশি ক্ষতি করেছে। তার ওই আদেশ পরে আদালত প্রত্যাহার করেছে। এ ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ ত্যাগ করেছেন মাইকেল ফ্লিন। যুক্তরাষ্ট্রের ঘোর শত্রু রাশিয়ার সঙ্গে তিনি, ট্রাম্পের নির্বাচনী শিবিরের ও প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ স্থাপন করেছিলেন। ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের আগেই তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত অবরোধ নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। এর ফলে রাশিয়ার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তার নিজের দল রিপাবলিকান ও বিরোধী ডেমোক্রেট দলের প্রথম সারির বেশ কিছু সিনেটর এ ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন। খুব কম সংখ্যক ডেমোক্রেট মনে করেন প্রেসিডেন্ট সুচারুভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এমন ডেমোক্রেটের শতকরা হার মাত্র ৮। এসব ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমেছে বলে ধারণা করা হয়। এর আগে প্রেসিডেন্টকে শতকরা ২৪ ভাগ ডেমোক্রেট সমর্থন দিয়েছিলেন। কিন্তু তা এখন নেমে এসছে শতকরা মাত্র ৮ ভাগে। সে যা-ই হোক। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখনও রিপাবলিকানদের সমর্থন ধরে রেখেছেন।