এম এ কাহার বকুল; লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ,লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় লেখাপড়ায় অমনোযোগী এক শিক্ষার্থীকে শাসন করায় ঐ শিক্ষার্থীকে ভুয়া প্রতিবন্ধী সাজিয়ে এক সহকারী শিক্ষককে নিয়মবহির্ভূত বিচারে হেয় প্রতিপন্ন করার ঘটনা ঘটেছে। হাতিবান্ধা উপজেলার পশ্চিম সারডুবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে।
ঐ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ জানুয়ারি চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী আশামনি (৮) ক্লাসে পাঠদানে অমনোযোগী এবং ক্লাস চলাকালীণ সময়ে অন্য শিক্ষার্থীর সঙ্গে চিল্লাচিল্লি করলে আমি সবাইকে সর্তক করে দেই। এরপরেও আমি ঐদিন রাতেই আমি আশামনির পরিবারের কাছে গিয়ে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করি।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ের দুই একজন শিক্ষক বিষয়টিকে পরিকল্পিত ভাবে আশামনির পরিবারকে উস্কানি দেন। বিদ্যালয়ের নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে ঐ শিক্ষককে শায়েস্তা এবং হেনস্তা করার প্রয়াসে ২৬ জানুয়ারি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর পরিবারকে ডেকে এনে শালিস বৈঠক বসিয়ে তাকে বিদ্যালয়ে সবার সামনে ঐ শিক্ষার্থীর পরিবারের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। এবং এই খবরটিকে ইচ্ছে করে কর্তৃপক্ষ ঐ ছাত্রীকে প্রতিবন্ধী উল্লেখ করে সংবাদ পত্রে বানোয়াট সংবাদ পরিবেশনের ব্যবস্থা করেন।
এ বিষয়ে ঐ এলাকার নিযুক্ত ক্লাস্টার এ,টি,ও আবুল কালাম আজাদ বলেন বিষয়টি যদি পরিকল্পিত হয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় ঐ শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের সামনে কথা বলে বিদ্যালয়ে নিয়ম অনুযায়ী প্যারেড করেও দেখায় যে, সে প্রতিবন্ধি নয়। বিষয়টি তার পিতা আশরাফ আলী ও সাংবাদিকদের নিকট ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এসময় বিদ্যালয়ে অবস্থানকালীন সময়ে প্রধান শিক্ষক উম্মে হাবীবা উপস্থিত ছিলেন না। তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এ
সময় উপস্থিত এলাকার অনেকেই বিষয়টিকে প্রধান শিক্ষকের গাফিলতি এবং কিছু লোকের চক্রান্ত এবং পরিকল্পিত বলে মন্তব্য করেন। আশামনিকে প্রতিবন্ধি হিসেবে সংবাদ পত্রে প্রকাশ করায় তার পরিবার তীব্র প্রতিবাদ জানান ।
ঐ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও হাফেজ বজলুল রহমান আলিম মাদ্রাসা সহকারী শিক্ষক মোকলেছার রহমান বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। এবিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগপত্র পাইনি। ঘটনার সময় রংপুরে ছিলাম। তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন রাতে সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান রাতে ঐ শিক্ষার্থীর পরিবারের কাছে গিয়ে দুঃখপ্রকাশ ও মাফ চান। এর পরেও এলাকার কিছু লোক ঘটনাটিকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করেন।