ঝিনাইদহের খবর

Slider খুলনা

pic 2 (2)
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের সদর থানার এএসআই মামুন ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়ার সোহান (২২) নামে এক ইজিবাইক চালককে বাশ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর যখম করেছে। এ ব্যাপারে পূনরায় তদন্তে সাংবাদিকরা সোহানের বাড়িতে গেলে এবার সুর পাল্টালেন সোহানের মা।

গ্রামবাসী সুত্রে জানাগেছে, ঝিনাইদহ চাকলাপাড়ার রুস্তমের ছেলে সোহান বর্তমানে ইজিবাইক চালক। চাকলাপাড়ার এলাকার মাদক ব্যাবসায়ী সোহাগের সাথে তার সুসম্পর্ক গড়ে উঠায় সোহানের মা সুমি বেগম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। পরে সুমি বেগম তার ছেলে সোহানকে ভাল পথে আনার জন্য পূর্ব পরিচিত ঝিনাইদহ সদর থানার এএসআই মামুনের সাথে পরামর্শ করেন।

সোহানের মা সুমি বেগম জানান, এ এস আই মামুনের সাথে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক থাকার কারণে আমি মামুনকে আমার ছেলে খারাপ হওয়ার ব্যাপারে সমস্ত ঘটনা খুলে বলি এবং তার কাছে সাহায্য চাই। তাই মামুন আমার ছেলে কে ডাকে এবং বুঝাতে থাকে। তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে সোহান এএসআই মামুনের কাছ থেকে পালাতে গেলে পাশে থাকা বাঁশের চটায় (চিরা বাঁশ) বেঁধে পড়ে যায় এতে সোহানের পা কেটে যায়।

সরেজমিনে সোহানের বাড়িতে গিয়ে জানা গেছে, সোহান এখন সুস্থ্য আছে, এএসআই মামুন কেন সোহাগকে এভাবে পিটালেন এ ব্যাপারে সোহানের মায়ের কাছে জানতে চাইলে সোহানের মা সুমি বেগম বলেন, আমার ছেলে আগে অনেক ভালো ছিল কিন্তু বর্তমানে সোহান জৈনিক সোহাগ সহ বেশ কিছু খারাপ ছেলেদের সাথে মিশে খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আমি শ্বাসন করতে গেলে আমার কথা সোহান মানতে চাইনা। ছেলের এহেন অবাধ্যত্বার কারণে মামুনকে দিয়ে শ্বাসন করার জন্য মুলত আমিই দায়ী।

এদিকে সোহানের শ্বাসনের জন্য পুলিশের কাছে লিখিত দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে সোহানের মা আরো বলেন, এএসআই মামুনকে সোহান মামা বলে ডাকে এবং মামুন আমাকে নিজের বোন বলে জানে তাই এ ব্যাপারে কোন লিখিত দেয়নি।

উল্লেখ্য, গত (২৮শে জানুয়ারী) ইং শনিবার “কোটচাঁদপুরের পর এবার ঝিনাইদহে এক যুবককে পিটিয়ে জখম করল পুলিশ” শিরোনামে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। পরবর্তিতে সোহানের বাড়িতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নত্তরে সুমি বেগম বলেন, উক্ত সংবাদ আংশিক সত্য। এএসআই মামুন এঘটনার জন্য কোন প্রকার দায়ী নয়।
কার কথা ঠিক ?

ঝিনাইদহ পওর বিভাগের ৫৪টি বাসা ছাড়া নিয়ে উত্তেজনা চরমে !
ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের লিজ দেওয়া বাড়ি থেকে অমানবিক ভাবে ৫৪টি পরিবার উচ্ছেদ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কতিপয় অসাধু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারী নিজেরে মধ্যে সরকারী বাসা নেওয়ার জন্য এই পাঁয়তারা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক দপ্তরে লিখিত অবিযোগ দেওয়া হয়েছে। লিজ গ্রহীতাদের ভাষ্য, পওর বিভাগের পরিক্যাক্ত এ সব বাসা বাড়ি নিজেরা টাকা খরচ করে সংস্কার করে বসবাসের উপযোগী করেছেন। এখন তাদের জোর করে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন কলেজের প্রভাষককে মস্তান, পুলিশ ও পেশি শক্তির মাধ্যমে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ সব পরিবারের ছেলে মেয়েরা পড়ালেখা করায় অন্যত্র বাসা নিয়ে যাওয়াও তাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে।

জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে দাবী করা হয়েছে, সংস্কার বিহীন এ সব পরিত্যক্ত বাসাবাড়ি ৫৪টি পরিবার লিজ নিয়ে বসবাসের উপযোগী করেন। আগে এ সব পরিত্যক্ত ভবনে গাজা, মদ, হিরোইন, ফেনসিডিলসহ অসামাজিক কাজের আখড়া ছিল। লিজ গ্রহীতারা টাকা খবর করে বিদ্যুৎ সংযোগ, পানির লাইন, ভবনের জানালা দরজা মেরামতসহ অবকাঠোমো উন্নয়ন করেন। তারা ব্যাংকের মাধ্যমে বাসা ভাড়াসহ অন্যান্য ব্যায় পরিশোধ করে আসছেন। অথচ বেআইনী ভাবে তাদের উচ্ছেদ করার জন্য নোটিশ জারী করা হয়েছে।

লিজ গ্রহীতারা অভিযোগ করেন, এ সব বাসাবাড়ি তারা মেরামত করলেও ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বাসা মেরামতের ভুয়া কোটেশন দেখিয়ে সরকারের লাখ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুস সবুর খান প্রাধানমন্ত্রীর বরাবর দুই পাতার একটি অভিযোগ পাঠিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়া গেছে, ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৮ জন কর্মচারী কর্মকর্তাদের কোয়াটার নিজেদের নামে বরাদ্দ নিয়ে বসবাস করছেন।

এদের মধ্যে কারো কারো নামে একাধিক বাসা বরাদ্দ আছে। তারা ভাড়া দিয়ে সরকারী টাকা কোষাগারে না দিয়ে পকেটস্থ করছেন। এক সম্প্রসারণ উপ-দর্শক ঝিনাইদহে একটি ও হরিণাকুন্ডুতে দুইটি বাসা নিজের নামে বরাদ্দ নিয়ে ১৫ বছর ধরে ভাড়া না দিয়ে বসবাস করছেন। হরিণাকুন্ডুর এসডিইর বাসা দুইটি তিনি ভাড়া দিয়ে খাচ্ছেন। পাম্প অপারেটর আবু রেজা, অফিস সহকারী আব্দুল মজিদ, অফিস সহায়ক আহম্মদ আলী, ডিইও জাহাঙ্গীর হোসেন, হিসাব করনিক ফারজানা ইয়াসমিন, অফিস সহায়ক দিয়ানত আলী ও সম্প্রসারণ উপ-দর্শক বাদশা আলমগীরের বিরুদ্ধে সরকারী ভাড়া ফাঁকির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

এদের মধ্যে চারজন একেবারেই ভাড়া দেন না। বাকীরা মাত্র ৫% ভাড়া দিয়ে বসবাস করেন। লিজ গ্রহীতাদের অভিযোগ পওর বিভাগের এক উপ-সহকারী প্রকৌশলী, সম্প্রসারণ উপ-দর্শক ও কার্য সহকারী তাদের কাছে প্রতিটি বাসার জন্য ত্রিশ হাজার টাকা দাবী করেছিলেন। টাকা না দেওয়ায় এখন তাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। লিজ গ্রহীতাদের লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি টারবাইন পাম্পকে ঘিরে মহা দুর্নীতি করা হচ্ছে। পাম্পটি দীর্ঘ ৭/৮ বছর নষ্ট হয়ে পড়ে থাকলেও ২০১৫ সালে ১০ লাখ টাকা ও ২০১৬ সালে সাড়ে ১২ লাখ টাকা মেরামত বাবাদ তুলে নিয়েছে। আবার পাম্প চালক আবু রেজা খান প্রতি মাসে ওভার টাইম বাবদ হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ পওর বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল সিদ্দিকী জানান, মন্ত্রানালয় থেকে চিঠি আসার কারণে তাদেরকে বাসা ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। তাছাড়া তাদের লিজের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, জোর করে কারো উচ্ছেদ করা হচ্ছে না। বরং ষাট ভাগ ভাড়াটিয়া চলে গেছে। কিছু মস্তান প্রকৃতির ভাড়াটিয়া আমাদের নামে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল সিদ্দিকী মনে করেন। তিনি বলেন কর্মচারীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির কারণে ভাড়াটিয়া এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সরকারী বাসা না ছাড়ার চক্রান্ত করছে।

ঝিনাইদহে আনন্দ মিছিল জেলা বিএনপির নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে !
ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহে জেলা বিএনপির আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা করায় এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ সকাল ১১ টার দিকে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি ও এর অংগসংগঠনের নেতৃকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে কেপি বসু সড়কের দলীয় কার্যালয়ে এসে একত্রিত হয়।

এসময় জেলা বিএনপির সিনিয়র -সভাপতি এস.এম. মশিয়ুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আক্তারুজ্জামান, আব্দুল মতলেব মিয়া, জাহিদুজ্জামান মনা, এম.এম. মজিদ, আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, কামাল আজাদ পান্নু, আব্দুল আলিম, আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা, শাহজাহান আলী, সাজেদুর রহমান পপপু, আশরাফুল ইসলাম পিন্টু, জিয়াউল ইসলাম ফিরোজ, আহসান হাবিব রনক, মীর ফজলে এলাহী শিমুল, জাহাঙ্গীর হোসেন, আরিফুল ইসলাম আনন প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা নতুন কমিটির নেতৃত্বে দলকে ঐক্যবদ্ধ করে খালেদা জিয়ার আহ্বানে সকল কর্মসূচী সফল করার আহ্বান জানান। এদিকে ঝিনাইদহ এ্যাড এম এ মজিদ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হওয়ায় হরিণাকুন্ডু উপজেলা বিএনপির সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। অন্যদিকে এম শাহজাহান আলী জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হওয়ায় তিনি পৌর বিএনপির সাংগঠনিক পদ থেকে সেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন বলে জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

ঝিনাইদহে সাড়ম্বরে উদযাপিত সরস্বতী পূজা
ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহে আড়ম্বর পরিবেশের মধ্য দিয়ে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পূজাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকেই জেলা শহরের মন্দিরগুলোতে ভীড় জমাতে থাকে সনাতন ধর্মাবলম্বলীরা। জ্ঞান লাভের আশায় সরস্বতী মায়ের রাতুল চরণে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা। চলে হাতে খড়ি।

পূজা চলাকালীন সময় উলু ও শঙ্খ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে প্রতিটি পূজামন্ডপে। শেষে ভক্তদের মধ্য বিতরণ করা হয় প্রসাদ। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, শান্তিপুর্ণভাবে জেলার বিভিন্ন স্থানে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজা উপলক্ষে মন্ডপগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ স্থানগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশের পাশা-পাশি সাদা পোশাকে পুলিশ টহল দিচ্ছে। ঝিনাইদহ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দেওয়া তথ্য মতে, এ বছর জেলা শহরসহ ৬টি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পাড়া-মহল্লায় ছোট-বড় অন্তত ৭’শ মন্ডপে একযোগে এই সরস্বতী পূজা পালিত হচ্ছে।

ঝিনাইদহের মহেশপুরে ২ জনের কারাদন্ড
ঝিনাইদহের মহেশপুরে সরকারি কাজে বাধা দেবার অভিযোগে আলম আমিন (৩৭) এক ব্যক্তিকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও মাদক সেবন করার অভিযোগে বিকাশ চন্দ্র ঘোষ (৩২) নামের অপর একজনকে ১৫ দিনের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: আশাফুর রহমান বুধবার বিকালে এ রায় দেয়।

ইউএনও আশাফুর রহমান জানান, উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে আল আমিন বিভিন্ন ভাবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকি ও সরকারি কাজে বাধা দিয়ে আসছিল। তাকে আটক করে ১ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

এছাড়াও মাদকদ্রব্য সেবন করার অভিযোগে বিরেন চন্দ্র ঘোষ তার ছেলে বিকাশ চন্দ্র ঘোষকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তাকে ১৫ দিনের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *