গ্রাম বাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে হত্যার ষড়যন্ত্র ফাঁস করেছে ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএ)। দু’নেত্রীকে হত্যা করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো ভেঙে দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। নিষিদ্ধ জঙ্গিরা প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করে অভ্যুত্থান ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিল। এ ঘটনায় ভারতের সঙ্গে সীমান্তে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে আরও বলা হয়, ভারতের নিরাপত্তা বিষয়ক তিন কর্মকর্তা এসব তথ্য দিয়েছেন। তারা বলেছেন, এ পরিকল্পনা করেছিল নিষিদ্ধ ঘোষিত জামাআ’তুল মুজাহিদিন। এ পরিকল্পনার বিস্তারিত বাংলাদেশের কাছে তুলে দেয়ার কথা ভারতের। বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের ঘটনা অনুসন্ধান করতে গিয়ে জেএমবি’র ওই পরিকল্পনা উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা পরিকল্পনার বিষয়ে বাংলাদেশ সরাসরি কোন মন্তব্য করেনি। পশ্চিমবঙ্গের ওই বিস্ফোরণের বিষয় তদন্ত করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হত্যা পরিকল্পনার বিষয়টি উদঘাটন করেছেন গোয়েন্দারা। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, জেএমবি যে কৌশল নিয়েছিল তার নেপথ্যে ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের আঘাত করার লক্ষ্য। আর এসব পরিকল্পনা করা হয়েছিল ভারতের মাটিতে বসে। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল সোমবার খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। রয়টার্সের রিপোর্টে আরও বলা হয়, জামাআ’তুল মুজাহিদিন শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নয়, তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকেও হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। এ দু’নেত্রী কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রাধান্য বিস্তার করে আছেন। তবে তাদেরকে হত্যার কি পরিকল্পনা করেছিল, কৌশল কি নিয়েছিল জঙ্গিরা- সে বিষয়ে মুখ খোলেননি কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য, জেএমবি ২০০৫ সালে একই দিনে সারা দেশে প্রায় ৫০০ বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। বেশ কিছু আদালতে তাদের সদস্যরা আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হন। আহত হন কয়েক শ’ মানুষ। এ বছর জেএমবি’র সদস্যদের বহনকারী একটি পুলিশ ভ্যানে করে আদালতে নেয়ার পথে তাতে হামলা করে অস্ত্রধারীরা। তারা বোমা নিক্ষেপ করে। পুলিশের কাছ থেকে কেড়ে নেয় তাদের সদস্যদের। ২০০৫ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য গুরুতর হুমকি হয়ে ছিল জেএমবি।