আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী লুটেরা, কোটিপতি কিংবা মুনাফাখোর, কমিশন-ভোগীরা এক আছে, তাদের বিরুদ্ধে মানুষের ঐক্যের দৃষ্টান্ত হিসেবে ৭ জানুয়ারি বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ দিবস পালন করা হয়। এর অংশ হিসেবে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের কলকাতা ও নয়াদিল্লিতে, যুক্তরাজ্যের লন্ডনে, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে, ফ্রান্সের প্যারিসে, জার্মানি, ইতালিসহ উত্তর আমেরিকার নিউইয়র্কে শহরে সুন্দরবনবিনাশী এই কর্মসূচি পালন করছে।’
আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘এই পৃথিবী কোনো রাষ্ট্রীয় সীমানা দ্বারা ভাগ করা যায় না। এর এক প্রান্তে বাতাস দূষিত হলে, নদীদূষণ হলে, বন উজাড় হলে অন্য প্রান্তের মানুষ বিপদগ্রস্ত হয়। এ জন্য সারা বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে উন্নয়নের নামে, জিডিপি প্রবৃদ্ধির নামে প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশ ধ্বংস হলে তার বিরুদ্ধে মানুষকে দাঁড়াতে হবে।’
সমাবেশ থেকে জানানো হয়, ২৫ জানুয়ারির মধ্যে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ সুন্দরবনবিনাশী সব প্রকল্প বাতিল না করা হলে ২৬ জানুয়ারি ঢাকা মহানগরীতে ভোর ছয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত অর্ধদিবস হরতাল পালন করা হবে। এদিন দেশের স্বার্থে, সর্বজনের স্বার্থে ঢাকার প্রত্যেককে এ কয়েক ঘণ্টা ব্যক্তিগত গাড়ি, কাজ বন্ধ রেখে সুন্দরবনবিনাশী সব তৎপরতার বিরুদ্ধে সবার অবস্থান জানানোর আহ্বান জানানো হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশি কবীর, শিল্পী কফিল আহমেদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় নেতা রুহীন হোসেন প্রিন্স, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী প্রমুখ।