ওদের আর কি পরিকল্পনা আছে

Slider রাজনীতি

47646_pm

 

ঢাকা; গাইবান্ধা-১ আসনের সদ্য প্রয়াত সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন খুনের ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের প্রতি অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার বিরোধী আন্দোলন করে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি জামায়াত এখন গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে। জানিনা ওদের আর কি পরিকল্পনা আছে। এ বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকারও আহবান জানান তিনি। বুধবার সন্ধ্যায় গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের এক যৌথসভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংসদ সদস্য লিটনের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু সে জামায়াতের বিরুদ্ধে সবসময় ছিলো, এমনকি গোলাম আযম ওখানে মিটিং করতে চেয়েছিলো, সেই মিটিং ও করতে দেয় নি, বাধা দিয়েছিল। সেই থেকে জামায়াতের একটা ক্ষোভ ওর ওপর ছিলো। ওকে বেশ কয়েকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আর অবশেষে তারা সেই হত্যাকান্ডটা ঘটালো। মানুষ খুন করা বিএনপির চরিত্র এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মানুষ খুন, মানুষ হত্যা করাÑএটা হচ্ছে বিএনপির চরিত্র।
প্রধানমন্ত্রী সকলকে গুপ্তহত্যার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যাই হোক আমি জানি না, ওদের (বিএনপি-জামায়াত) আরও কী পরিকল্পনা আছে। কারণ, যখন তারা নির্বাচন করলো না, ব্যর্থ হলো। নির্বাচন ঠেকাতে পারে নি। আন্দোলন করে সরকার উৎখাতে ব্যর্থ হয়ে এখন গুপ্তহত্যা। এটা তো বিএনপি জামায়াতে একটা চরিত্র। খুন করাটাই তাদের চরিত্র। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার চরিত্রটাই হচ্ছে অপরাধীদের মদত দেয়া। অপরাধীদেরকে লালন পালন করা।
লিটনের ওপর একাধিকবার হামলা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওর ওপর বারবার হামলা হয়েছে। একটা ঘটনা আমার খুব খারাপ লাগে। মাঝখানে একটা ঘটনা ঘটে গেলো, একটা বাচ্চা ওর গুলিতে আহত হয়। সেটা নিয়ে পত্র-পত্রিকা এমনভাবে লেখালেখি করলো এবং ওকে একটা ‘অ্যাসাসিন’ করলো। ঘটনা যেটা ঘটলো, সেটা আর কেউ তুলে ধরলো না, যে ওকে মারার জন্য ‘অ্যাম্বুশ’ করে রাখা হয়েছিলো। যেহেতু ও সবসময় সতর্ক ছিলো কাজেই ও কেনোমতে সেখান থেকে বেঁচে আসে। ওই সময়ের গোলাগুলিতে যে ছেলেটা আহত হয়, বাচ্চা; সেও কিন্তু আমাদের আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলো। কিন্তু সেই ঘটনাটাকে ফুলিয়ে ফাপিয়ে এমনভাবে লেখা হয়, তার বিরুদ্ধে মামলা হয়, তার বন্দুকের লাইসেন্স জব্দ করা হয়। তার অস্ত্রটা নিয়ে যাওয়ার পর থেকে সে আতঙ্কে থাকতো, যে যেকোনো সময় তাকে আক্রমণ করবে। ঠিক সেই ঘটনাটাই ঘটলো। ওর বাসার ভেতরে ঢুকে ওকে গুলি করে হত্যা করলো।
বক্তব্যের শেষে প্রধানমন্ত্রী তার নেতৃত্বাধীন সরকারের তিন বছর পূর্তির বিষয়টি তুলে ধরেন। বলেন, ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি নির্বাচন হয়েছিল। আর ১২ তারিখ আমরা শপথ নিয়েছিলাম। আমাদের তিন বছর পূর্ণ হলো। এই তিন বছর আমরা অত্যন্ত সফলতার সাথে দেশ পরিচালনা করেছি। দেশের উন্নয়নের কাজের গতিটা আমরা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি। এ জন্য আজকে উন্নয়নটা দৃশ্যমান হচ্ছে। মানুষ আজকে খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারছে। গ্রাম থেকে শহর সকল পর্যায়ে উন্নত হচ্ছে। সভা পরিচালনা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের বেশিরভাগ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *