ঢাকা; থার্টিফার্স্টে রাত ৮টার মধ্যে রাজধানীবাসীকে ঘরে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। ওইদিন সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে রাজধানীর কোনো বার খোলা রাখা যাবে না। রাত ৮টা থেকে পরদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট, সমাবেশ ও উৎসবমুখর কোনো স্থানে আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে ডিএমপি’র প্রস্তুতির কথা জানান আছাদুজ্জামান মিয়া। ডিএমপি কমিশনার বলেন, এইবার থার্টিফার্স্টের রাতে ১০ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), কাউন্টার টেররিজম (সিটি) ইউনিটসহ সব নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবে। আর সন্ধ্যা ৬টার পর গুলশান এলাকায় প্রবেশের জন্য শুধু কাকলী ও আমতলী ছাড়া অন্য কোনো পয়েন্ট খোলা থাকবে না। এ ছাড়া গুলশানে ঢোকার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট এলাকার স্টিকার ব্যবহার করতে হবে। গুলশান থেকে হাতিরঝিল হয়ে বেরিয়ে যাওয়া যাবে। তবে রাত ৮টার পর হাতিরঝিল এলাকায় যান চলাচল বন্ধ থাকবে। ডিএমপি কমিশনার আরো জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যার পর শুধু শিক্ষার্থী ও শিক্ষক ছাড়া অন্য কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে তল্লাশিচৌকি থাকবে।
ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে শাহবাগ ও নীলক্ষেত পয়েন্ট দিয়ে ডাইভারশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টার পর টিএসসি ও গুলশান এলাকার রেস্টুরেন্ট-হোটেলসহ সব ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। সাধারণ পথচারীদের বিষয়ে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, প্রত্যেকেই তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখবেন। কারণ, নিরাপত্তার জন্য যদি কোনো ব্যক্তির চলাফেরায় সন্দেহ হয়, তবে পুলিশ তাকে তল্লাশি করতে পারে। সে জন্য পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে।