গ্রাম বাংলা ডেস্ক:জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের ২৩ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের সনদ স্থগিত করা হয়েছে। গত ২১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের এক নেতার সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় আজ শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে তাদের কারও নাম জানা যায়নি।
রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, হামলার ঘটনায় মোট ২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তবে অফিস আদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত কারো নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
তবে সিন্ডিকেটের একটি সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া সাত জনকে দুই বছর, তিন জনকে এক বছর, দুই জনকে ছয় মাস এবং পাঁচ জনকে তিন মাসের জন্য
জাহাঙ্গীরনগরে ছাত্রলীগের ১৬ জন বহিষ্কার, তদন্ত কমিটি গঠন
বহিষ্কার করা হয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কৃত এই ২২ জনের প্রত্যেককে জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাবেক ছাত্র এবং ছাত্রলীগ নেতার সনদ স্থগিত করা হয়েছে।
সিন্ডিকেটের ওই সূত্র আরও জানায়, হামলার ঘটনায় পরদিন ২২ আগস্ট পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েচিল। কিন্তু কমিটি দুই মাস পর আজ শনিবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। বিকেলে শৃঙ্খলা বোর্ডের সভায় এসব শাস্তির সুপারিশ করা হয়। সন্ধ্যায় সিন্ডিকেট সভায় সুপারিশ অনুমোদন করা হয়।
উল্লেখ্য, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ২১ আগস্ট রাতে মাওলানা ভাষানী হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনন্দি বাড়ৈর পক্ষের নেতা-কর্মীরা একই হলের সভাপতি ফয়সাল আহমেদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে সাতজন আহত হয়। এ ঘটনায় পর দিন ছাত্রলীগের ১৬ নেতা-কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া ওই বহিষ্কৃত ১৬ জনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মো. সোহেল রানা।