ঢাকা; পারিবারিক সহিংসতায় ক্রমবর্ধমান নারী হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা। সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী গত এগারো মাসে বিভিন্ন কারণে পারিবারিক সহিংসতায় ২৬৮ জন নারী নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ২১১জন । এদের মধ্যে স্বামী কর্তৃক নিহত হয়েছে ১৫৮ জন। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা।
এ বিষয়ে সংস্থার চেয়ারম্যান এডভোকেট সিগমা হুদা বলেন, পরিবারে নারী নির্যাতনের বিষয়টি খুবই উদ্বেগের বিষয়। কঠোর আইন থাকার পরও নারী নির্যাতন, হত্যা বন্ধ হচ্ছে না বরং পরিবারের মতো নিরাপদ স্থানেও নারীরা আর নিরাপদ অনুভব করছে না। মানুষের নৈতিক অবক্ষয় ও সঠিক পারিবারিক মূল্যবোধের অভাবে পরিবারেরও দেখা দিচ্ছে অরাজকতা। যার বেশীর ভাগ ভুক্তভোগী হচ্ছে নারী ও শিশুরা। যে নারীগুলো স্বামীকর্তৃক খুন হয়েছে তার অধিকাংশ কারণই যৌতুক। যৌতুকের বিরুদ্ধে জনগনকে সচেতন করতে হবে। আইনের সঠিক প্রয়োগ ও অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির বিধান নিশ্চিত করা গেলে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হতে পারে।
এ বিষয়ে সংস্থার চেয়ারম্যান এডভোকেট সিগমা হুদা বলেন, পরিবারে নারী নির্যাতনের বিষয়টি খুবই উদ্বেগের বিষয়। কঠোর আইন থাকার পরও নারী নির্যাতন, হত্যা বন্ধ হচ্ছে না বরং পরিবারের মতো নিরাপদ স্থানেও নারীরা আর নিরাপদ অনুভব করছে না। মানুষের নৈতিক অবক্ষয় ও সঠিক পারিবারিক মূল্যবোধের অভাবে পরিবারেরও দেখা দিচ্ছে অরাজকতা। যার বেশীর ভাগ ভুক্তভোগী হচ্ছে নারী ও শিশুরা। যে নারীগুলো স্বামীকর্তৃক খুন হয়েছে তার অধিকাংশ কারণই যৌতুক। যৌতুকের বিরুদ্ধে জনগনকে সচেতন করতে হবে। আইনের সঠিক প্রয়োগ ও অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির বিধান নিশ্চিত করা গেলে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হতে পারে।
সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা সোহেল বলেন, দিনে দিনে নারীদের প্রতি নির্যাতনের মাত্রা বেড়েই চলেছে। এর প্রধান কারণ অপরাধীদের বিচার না হওয়া ও বিচার কার্য বিলম্বিত হওয়া। নারী নির্যাতনকারীদের উপযুক্ত শাস্তি না হওয়া, সামাজিক ও পারিবারিক অনাচার বৃদ্ধি, প্রযুক্তির অপব্যবহার, ইত্যাদি বিভিন্ন কারনে দিন দিন এধরনের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরোও বলেন, এ অবস্থা উন্নয়নের জন্য সরকারী পদক্ষেপের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন গুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। পারিবারিক কাউনসিলিং এর মাধ্যমে পারিবারের বন্ধন ও পরিবারে নারীর মর্যাদা সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।