‘জনসমর্থনহীন সংসদ’-এর আইনে ইসি চান না কাদের সিদ্দিকী

Slider টপ নিউজ রাজনীতি

45618_ks

 

ঢাকা; নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় জনসমর্থনহীন সংসদ প্রণীত আইনে নতুন নির্বাচন কমিশন দেখতে চান না বলে জানিয়েছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। এর আগে ইসি গঠন ইস্যুতে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে জাতীয় পার্টির আলোচনায় জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে সংসদে আইন প্রণয়ন করে ইসি গঠনের প্রস্তাব করা হয়। সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। রাজনৈতিক দলের আলোচনার ধারাবাহিকতায় বিকাল সাড়ে চারটার দিকে নিজ দলের প্রতিনিধি নিয়ে বঙ্গভবনে যান কাদের সিদ্দিকী। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে বঙ্গভবন থেকে বের হয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, প্রেসিডেন্টকে আমরা জানিয়েছি যে জনসমর্থনহীন এই সংসদের ওপর আমাদের আস্থা নেই। এই সংসদে ইসি গঠনে কোনও আইন প্রণয়নের প্রয়োজন নেই। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা শেষে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে দলের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেন, বর্তমান সংসদকে আমরা জনসমর্থনহীন ও অনাস্থার সংসদ মনে করি। এই সংসদের ১৫৩ জন সদস্য অনির্বাচিত। তাই এই সংসদে প্রণীত কোনও আইন দিয়ে আমরা নতুন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গঠন চাই না। কাদের সিদ্দিকী বলেন, অনেকে মনে করেন, প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা নেই। আমাদের বা প্রেসিডেন্টের সৌভাগ্য যে সংবিধানে ১১৮ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে ইসি গঠনে প্রেসিডেন্টের জন্য কোনও ধরনের বাধ্যবাধকতা নেই। তিনি স্বাধীন ও মুক্তভাবে ইসি গঠন করতে পারেন। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টকে বছরে কমপক্ষে দুই বার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার অনুরোধ জানিয়েছি। একই আহ্বান প্রধানমন্ত্রী বরাবরও রাখছি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের সিদ্দিকী বলেন, প্রেসিডেন্টের মনোভাব অত্যন্ত ইতিবাচক ছিল। তিনি একজন পোড় খাওয়া রাজনীতিক। তার চাল-চলন ও কথা-বার্তা সবই রাজনীতি নির্ভর। ইসি গঠন উপলক্ষে প্রেসিডেন্টের সংলাপের এই উদ্যোগেও শতভাগ সততা আছে। কাদের সিদ্দিকী বলেন, সার্চ কমিটির জন্য কারও নাম প্রস্তাব করিনি। সার্চ কমিটি করেই হোক আর না করেই হোক, সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট যেভাবে ইসি গঠনে কাজ করবেন তার সঙ্গেই আমরা থাকব। প্রতিনিধি দলে কাদের সিদ্দিকীর সহধর্মিণী নাসরিন সিদ্দিকী, দলের সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য প্রিন্সিপাল আবদুর রশীদ, আবদুল হালিম সরকার লাল, হাশমত আলী ও ফরিদ আহমেদ অংশ নেন। এছাড়া আগামী ২৭শে ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় সরকারের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি, ২৯শে ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) এবং একই দিন সাড়ে ৪টায় ইসলামী ঐক্যজোট, ২রা জানুয়ারি বিকাল ৪টায় জাতীয় পার্টি (জেপি), ৩রা জানুয়ারি বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন এবং সাড়ে ৪টায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে সংলাপের সূচি রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *