এম এ কাহার বকুল; লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর এই দিনে লালমনিরহাট জেলা পাক হানাদার মুক্ত হয়েছিল। দিবসটি পালনে জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রাজনৈতিক দল ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
সকালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় প্রঙ্গান থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ শহর প্রদক্ষিন, জেলা পরিষদ ডাকবাংলা মাঠে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক ডিসপ্লে প্রদর্শন, সেচ্ছায় রক্তদান, বীরমুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি চারণ ও আলোচনা সভা, আলোকসজ্জা।
এছারাও ৬ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সরকারি দপ্তর, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তোরণ নির্মান সহ ব্যাপক কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে।
৭১ এর এইদিনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীর যৌথ আক্রমনের মুখে হানাদার পাকিস্থানী সৈন্যরা বিপর্যস্ত ও ছত্রভঙ্গ হয়ে পরে। হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগী বিশেষত: হানাদার বাহিনী ট্রেন যোগে রংপুর ও সৈয়দপুরে পালিয়ে যায়।
তিস্তা রেল ব্রীজে হানাদার বাহিনীর সাথে মিত্র বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল গোলাগুলি হয়। যুদ্ধে হানাদার বাহিনীর কমান্ডার মেজর এজাজ সহ কয়েক জন সৈন্য ও রাজাকার নিহত হয়। হানাদার বাহিনী পরাজয়ের মহুর্তে তিস্তা রেলওয়ে সেতুর দক্ষিন পার্শ্বে ২ স্প্যান ধ্বংস করে। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর সকালে মিত্র বাহিনী ও মুক্তিবাহিনী লালমনিরহাটে প্রবেশ করে। চারিদিক থেকে হাজার হাজার নর নারী ও শিশুরা লালমনিরহাট শহরে এসে বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠে। এবং স্বাধীনতার বিশুদ্ধ বাতাস বইতে থাকে। যার ফলে আজ আমরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশ খুঁজে পেয়েছি। লক্ষ কোটি সালাম এবং স্যালুট মুক্তিযুদ্ধের শহীদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের । যাদের ত্যাগের মাধ্যমে আমরা এই স্বাধীন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র পেয়েছি।