নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রয়োজন: বি চৌধুরী

Slider বাংলার মুখোমুখি

41712_bchd

 

ঢাকা; সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ডা: একিউএম বদররুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক হোক আর যেই নামেই হোক নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। নিরপেক্ষ সরকার হলেই নির্বাচন সবার কাছে গ্রহনযোগ্য হবে। বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আদর্শ নাগরিক আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত ‘স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সংসদে নাই এমন একটি দল নির্বাচন কমিশন গঠনে নিজেদের প্রস্তাব অবহিত করতে প্রেসিডেন্টের কাছে চিঠি দিয়েছেন। প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কতখানি আমার চেয়ে কেউ বেশী জানার কথা নয়। প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা হচ্ছে তিনি যা যা করবেন তা প্রধানন্ত্রীর অনুমতি অনুযায়ী করবেন। বাংলাদেশের সব কিছুর মধ্যমনি হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। এখানে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করে কি হবে? কাজেই আমাদের দেশের যারা ক্ষমতার শীর্ষে রয়েছেন তারা দেশ ও জাতির কথা বিবেচনা করেই আগামী দিনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। নইলে আমাদের সকলকেই নিজ নিজ কর্মের ফল কোন না কোন দিন অবশ্যই ভোগ করতে হবে।
তিনি বলেন, এরশাদের পতনের পর জাতীয় সংসদে জামায়াতের পক্ষ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফর্মূলা এসেছিল। ওই ফরর্মূলায় দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আসছিল। ওই নির্বাচনগুলোতে কিছু ত্রুটি থাকলেও জনগণ ওই নির্বাচনের রায় মেনে নেয়। কিন্তু, গেলো কয়েক বছর ধরে দেশের বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দল ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে প্রশ্ন তুললো। একদল মানলো আরেক দল মানলো না। তাতে কি হলো দেশে সংঘাত ছড়িয়ে পড়লো। সারাদেশে একটি আতংঙ্ক ছড়িয়ে পড়লো। মানুষ পুড়ে মরলো। এই সংঘাতময় পরিবেশ থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। আগামী নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতেই হবে তা নয় ওই সরকার নিরপেক্ষ সরকার হলেই হলো। মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্বাচারে গণহত্যার প্রতিবাদ করে তিনি বলেন, বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসী মিয়ানমার নিজেকে শান্তিপ্রিয় রাষ্ট্র বলে দাবি করে। কিন্তু, গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে তা মেনে নেয়া যায় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *