হাবিপ্রবির মেধাবী ছাত্র রাব্বীকে বাঁচাতে শহরের পথে পথে ঘুরছে সহপাঠীরা

Slider গ্রাম বাংলা বাধ ভাঙ্গা মত

 

rabbi-dinajpur

 

 

 

 

 

 

 

 

 

রবিউল ইসলাম দিনাজপুর প্রতিনিধি মানুষ মানুষের জন্য-হৃদয় হৃদয়ের জন্য-উক্তিগুলোকে সত্য প্রমান করল হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র গুরুত্বর অসুস্থ রাব্বীর সহপাঠীরা। রাব্বীর পাশে দাঁড়াতে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে তারা এখন নেমে পড়েছেন শহরের পথে পথে। তারা প্রত্যেক দোকানে ও মানুষের কাছে রাব্বীকে বাঁচাতে আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে নিচ্ছেন বিনা সংকোচে। অনেকটা ভিখারির মত করে সবার সামনে হাত পাতছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় দেখা যায় হাবিপ্রবির এই মহৎ শিক্ষার্থীদের।

সাহায্য তুলে বেড়ানো শিক্ষার্থীদের মধ্যে তরিকুল ইসলাম জানান, আমাদের বন্ধুর জন্য আজ আমরা রাস্তায় নেমেছি। আমাদের একটু কষ্ট আর মানুষের একটু সহানুভূতি যদি আমাদের বন্ধু বা একজন মানুষের সামান্য উপকারে আসে, সেটিই হলো আমাদের বড় পাওয়া। রাব্বীকে বাঁচাতে তিনি সকলকে সহযোগিতার আহবান জানান।

তারা আরও জানায়, দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ (মার্কেটিং) বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী মো. গোলাম রাব্বী মরণব্যাধি ক্যান্সারে (ঐড়ফমশরহদং খুসঢ়যড়সধ রিঃয ৎরমযঃ ষড়বিৎ ষরসন উঠঞ) আক্রান্ত। মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের বেডে অশ্রুসিক্ত রাব্বীর দুই চোখে এখন শুধুই বাঁচার স্বপ্ন। কিন্তু তার এই স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে চিকিৎসার ব্যয়। ৩০ লাখ টাকা প্রয়োজন তাকে সুস্থ করতে। যা রাব্বীর অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক বাবা মো. হারুনুর রশীদের পক্ষে জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ছেলেকে বাঁচাতে ইতোমধ্যে পেনশনের সব টাকা তুলে ফেলেছেন তিনি। এখন নিঃস্ব হয়ে অপেক্ষা করছেন হৃদয়বানদের। কিছুদিন আগে হালকা অসুস্থ রাব্বী। হঠাৎ করেই বেশি অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় রক্ত পরীক্ষা করা হয় খাজা ইউনুছ আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে। সেখানেই ধরা পড়লো মরণব্যাধি ক্যান্সার। সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দ্রুত তাকে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসা দিতে পারলে হয়তো তাকে বাঁচানো যাবে। এদিকে রাব্বীকে বাঁচাতে সাধ্যমত চেষ্টা করছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। সে বগুড়ার ধুনট উপজেলার খাটিয়াবাড়ি গ্রামের মো. হারুনুর রশীদের ছেলে। রাব্বী মাধ্যমিকে সিরাজগঞ্জ সবুজ কানন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং উচ্চ মাধ্যমিকে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে জিপিএ ৫ অর্জন করেছে। স্কুল-কলেজের পাঠ চুকিয়ে স্বপ্ন পূরণে ভর্তি হয় হাবিপ্রবিতে। আমাদের সবার ছোট ছোট প্রচেষ্টা আর কিছু সাহায্য কিন্তু বাঁচাতে পারে রাব্বীকে। পারে তার অসহায় মা-বাবার মুখে হাসি ফোটাতে। আসুন রাব্বীর পাশে দাঁড়াই। সামর্থ্য অনুযায়ী তাকে সহযোগিতা করি।

তাকে সহযোগিতা করতে পারেন রাব্বীর বোনের ০১৭২৮৭৪৬৪২০ (পার্সোনাল) বিকাশ নম্বরে। সাহায্য পাঠাতে পারেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ০১৭৩৮৪৭১৭৪১-০ রকেট নম্বরেও।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *