সমালোচকদের কেউ কেউ বলছেন, পঞ্চম শ্রেণির শিশুদের মধ্যে এভাবে নাম দিয়ে ধর্মীয় পরিচয় জানার কোনো মানে হতে পারে না। অনেকে এটিকে ‘সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন’ বলেও মন্তব্য করেছেন।
জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলমগীর বলেন, সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ)। কেউ অভিযোগ করলে এ বিষয়ে নেপের কাছে জানতে চাওয়া হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের প্রশ্নপত্রের একটি প্রশ্ন নিয়েও আপত্তি তুলেছেন এক পরীক্ষার্থীর মা। তিনি বলেন, একটি প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়েছে, নারী নির্যাতনের প্রধান প্রভাব কোনটি। এর মধ্যে সম্ভাব্য চারটি উত্তর দিয়ে সঠিক উত্তরটি বাছাই করতে বলা হয়েছে। সম্ভাব্য চারটি উত্তর হলো ক. মানসিক ক্ষতি, খ. শারীরিক ক্ষতি, গ. আধ্যাত্মিক ক্ষতি ঘ. বিকাশগত ক্ষতি। ওই অভিভাবকের প্রশ্ন, নারী নির্যাতনের প্রভাব শারীরিক ক্ষতি ও মানসিক ক্ষতি দুটোই হতে পারে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিকাশগত ক্ষতিও হতে পারে। তাঁর অভিযোগ, শিশুদের নিয়ে এ ধরনের প্রশ্ন করা কোনোভাবেই উচিত হচ্ছে না।