তিনজনেরই চোখ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনের দিকে

Slider সিলেট

img_20161114_020421

সিলেট প্রতিনিধি : লুৎফুর রহমান, ইকবাল আহমদ চৌধুরী আর নাসির উদ্দিন খান তিনজনেরই একটি জায়গায় মিল আছে। তাদের তিনজনেরই নামের আগে পরিচয় হিসেবে যুক্ত আছে ‘অ্যাডভোকেট’ শব্দটি। অর্থাৎ তারা তিনজনই আইনজীবী। আর তাদের মূল যে পরিচয়, তারা তিনজনই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। এবার তারা একবিন্দুতে এসে মিলেছেন। তাদের তিনজনেরই চোখ সিলেট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদটির দিকে। এ পদের জন্য লড়তে তারা তিনজনই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। তাদের মধ্যে প্রথম দুজনের ঝুলি অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ আর শেষের নামটি তারুণ্যের ঝলকানিমাখা। রাজনীতির মাঠে তিন আইনজীবীর মধ্যে সবচেয়ে পুরনো হচ্ছেন ইকবাল আহমদ চৌধুরী। দেশভাগের একদম পর মুহূর্তেই ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতিতে অভিষেক ঘটে ইকবাল আহমদ চৌধুরীর। রাজনীতির মাঠ কাঁপিয়ে ১৯৫৭ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সিলেট জেলা সভাপতির দায়িত্ব পান ভাষা সংগ্রামী ইকবাল চৌধুরী। পাকিস্তান পেরিয়ে বাংলাদেশের এই যৌবনের সময়ও রাজনীতির মাঠে একইভাবে সরব আছেন তিনি। অ্যাডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। শিক্ষানুরাগী হিসেবে পরিচিত ইকবাল চৌধুরী ২০ বছর ধরে গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বও সামলাচ্ছেন। এখন তার চোখ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদটিতে। আওয়ামী ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলছে, দীর্ঘদিনের চেনাজানার সূত্রে তার প্রতি এক্ষেত্রে আস্থা রয়েছে সিলেট আওয়ামী লীগের তিন হেভিওয়েট নেতা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ ও সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের। জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী মনোনয়নের লড়াইয়ে থাকা অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানের অভিজ্ঞতার ঝুলিও কম সমৃদ্ধ নয়। সিলেট জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক। লুৎফুর রহমান ১৯৬২ সালে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে পা রাখেন। গণপরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান বর্তমানে সিলেট জেলা পরিষদের শীর্ষ পদে আছেন প্রশাসক হিসেবে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ভারটিও সামলাচ্ছেন। তার ওপর আছে বয়সের ভার। তবে কোনো ভারই তার রাজনৈতিক পথচলায় বাধা হতে পারেনি। নির্বাচনের মাধ্যমে এবার বসতে চান জেলা পরিষদের শীর্ষ চেয়ারে। অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানকে এক্ষেত্রে মূলত ভরসা ও সমর্থন জোগাচ্ছেন যুক্তরাজ্য আওয়মী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। বিদেশ লবি ঠিকঠাক ম্যানেজ করতে পারলে লুৎফুর রহমানের ভালোই সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেকেরই বিশ্বাস।

তিন আইনজীবীর মধ্যে বয়সে সবচেয়ে নবীন হলেও প্রচারণায় সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। এক্ষেত্রে তার সবচেয়ে বড় পুঁজি নিজস্ব একদল নিবেদিত কর্মী। তার এ সকল অনুসারী  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার হয়ে বেশ ভালোই প্রচারণা চালাচ্ছেন। মাঠেও তারা সক্রিয় আছেন নাসির উদ্দিন খানের জন্য। তৃণমূলের সঙ্গে তার ভালো বোঝাপড়া থাকলেও গ্রুপিংয়ের অভিযোগ তাকে একটু বেকায়দায়ই ফেলে দিতে পারে। তবে তারুণ্যের ঝলকানি দিয়ে যদি শীর্ষ নেতৃত্বের মনে দোলা দিতে পারেন তবে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নাসির উদ্দিন খানকে দেখতে পাওয়া মোটেও অলিক কিছু নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *