মো. পলাশ প্রধান, টঙ্গী (গাজীপুর) থেকে; নিয়মিত চাঁদা না দেওয়ায় টঙ্গীতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে এক কর্মচারীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। নিহত ওই কর্মচারীর নাম বাবু (১৮)। এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিহত বাবু টঙ্গীর পূর্ব আরিচপুর পুরাতন লৌহ ব্যবসায়ী আরফান হোসেন বাপ্পির ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে কাজ করতো। গত শুক্রবার সকাল ১১ টায় এঘটনা ঘটে। গতকাল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় বাবুর মৃত্যু হয়। এঘটনায় আরফান টঙ্গী মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলায় সন্ত্রাসী ইমরান, আকরাম ও জুয়েলসহ ১০/১২ জনকে আসামী করা হয়। শুক্রবার রাতে সন্ত্রাসী জুয়েলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, সন্ত্রাসী জুয়েল, ইমরান, আকরাসহ একটি চিহ্নিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এলাকার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে আসছে। আরফানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারি বাবু খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে পুরাতন লৌহ ও লৌহজাত দ্রব্য কিনে গুদামজাত করতো। এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তার কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা নিত। দোকান মালিকের অপারগতায় গত এক মাস যাবত চাঁদা দেওয়া বন্ধ করে দেয় বাবু। এর জের ধরে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আরফানের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা এসময় অস্ত্রের মুখে বাবুকে দোকান থেকে তুলে নিয়ে পূর্ব আরিচপুরের বৌবাজার এলাকায় নেকার বাড়ি সংলগ্ন বালুরমাঠে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এলাকাবাসী বাবুকে উদ্ধার করে প্রথমে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নেয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাতেই পঙ্গুতে নিয়ে ভর্তি করেন। গতকাল সকালে অবস্থার অবনতি হলে আবারও ঢামেকে ভর্তি করা হয় বাবুকে। সকাল ৯ টায় ঢমেকেরে চিকিৎসকরা বাবুকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় দোকান মালিক আরফান টঙ্গী থানায় মামলা করার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী জুয়েলকে গ্রেফতার করে।