রংপুর পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমানের ভাষ্য, গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ওই এলাকার পরিত্যক্ত একটি ইটভাটায় অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে ‘জঙ্গিরা’ তাঁবু গেড়ে অবস্থান করছিল। টের পেয়ে ‘জঙ্গিরা’ পুলিশকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ককটেল ছোড়ে। এতে চারজন পুলিশ সদস্য আহত হন। তাঁরা চিকিৎসা নিয়েছেন। পরে চার ‘জঙ্গিকে’ গ্রেপ্তার করা হয়।
এসপি মিজানুর রহমান আরও বলেন, জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যা মামলার পলাতক আসামি সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে গ্রেপ্তার বেলাল হোসেনের সখ্য রয়েছে। বেলাল হোসেনই কুনিও হোশি হত্যা মামলার আসামিদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।
২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার কাচু আলুটারি গ্রামে কুনিও হোশিকে হত্যা করা হয়। হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি আটজন। তাঁদের মধ্যে চারজন কারাগারে রয়েছেন। তাঁরা হলেন মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রী (২১), ইছাহাক আলী (২৫), লিটন মিয়া ওরফে রফিক (২৩), আবু সাইদ (২৮)। পলাতক তিন আসামি হলেন সাদ্দাম হোসেন ওরফে রাহুল ওরফে চঞ্চল ওরফে সবুজ ওরফে রবি (২১), আনসারী ওরফে বিপ্লব (২৪), সাখাওয়াত হোসেন (২৭)। আরেক আসামি নজরুল ইসলাম ওরফে হাসান রাজশাহীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।