মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

Slider সারাবিশ্ব

37756_supreme

 

ঢাকা; মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ক্ল্যারেন্স থমাসের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন কর্পোরেট আইনজীবী মোইরা স্মিথ। তিনি বলেছেন, ১৯৯৯ সালে থমাস তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে যৌন আকাক্সক্ষা পূরণের জন্য আলিঙ্গন করেছেন, তার নিতম্ব স্পর্শ করেছেন। এই অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ ও অসত্য বলে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন থমাস। তবে তার বিরুদ্ধে এর আগেও আরেক নারী আইনজীবী যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন। ন্যাশনাল ল জার্নালের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। খবরে বলা হয়, ১৯৯৯ সালে মোরিয়া স্মিথের বয়স ছিল ২৩ বছর। তখন তিনি কর্পোরেট আইনজীবী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার দিন তিনি ছিলেন তার বসের বাসায়। ওই সময় ডিনার পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন ক্ল্যারেন্স থমাস। সেখানেই থমাস বেশ কয়েকবার অশ্লীলভাবে মোরিয়াকে আলিঙ্গন করেন এবং তার নিতম্বে স্পর্শ করেন বলে খবর দিয়েছে ন্যাশনাল ল জার্নাল। থমাস ১৯৯১ সালে হাই কোর্টে যোগ দেন। তবে তার আগে তাকে সিনেট শুনানির মুখে পড়তে হয়েছিল। নারী আইনজীবী অনিতা হিল তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন। শুনানির পর অবশ্য সিনেট তাকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দেয়। অন্যদিকে মোরিয়া স্মিথ এখন আলাস্কার এনস্টার ন্যাচারাল গ্যাস কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জেনারেল কাউন্সেল হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, থমাস তাকে ‘অসঙ্গতভাবে এবং অসম্মতিতে’ স্পর্শ করেছিলেন। স্মিথের মুখপাত্র হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন স্যান দিয়েগোর রাজনৈতিক উপদেষ্টা লরা ফিংক। তিনি বলেন, ন্যাশনাল ল জার্নাল থমাসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগের খবর দিয়েছে তা সঠিক। থমাস ওই জার্নালে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই দাবি অযৌক্তিক এবং এটা কখনই ঘটেনি।’ সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র থমাসের হয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। রয়টার্সও স্মিথের দাবি স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি।
ন্যাশনাল ল জার্নালের খবরে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের যৌন কেলেঙ্কারির বিভিন্ন খবর বেরিয়ে আসতে শুরু করলে স্মিথের অভিযোগটি আলোর মুখ দেখে। স্মিথ ঘটনার সময় ট্রুম্যান ফাউন্ডেশনের হয়ে কাজ করতেন। স্মিথ বিবৃতিতে বলেন, ‘একজন ছেলে ও একজন মেয়ের মা হিসেবে আমি এগিয়ে এসেছি এটা দেখানোর জন্য যে নিজের পক্ষে দাঁড়ানো ও সত্য বলা গুরুত্বপূর্ণ। যখন ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা যৌন হয়রানি করেন, তারা ধরে নেন যে এর শিকার মেয়েরা চুপ করে থাকবে।’ স্মিথ ওই ঘটনার পর তার আবাসস্থলের কয়েকজনকে তা অবহিতও করেন। তারাও সেই ঘটনার কথা স্মরণ করতে পেরেছেন। ন্যাশনাল ল জার্নালের প্রধান সম্পাদক বেথ ফ্রেরকিং বলেন, তারা দায়িত্ব নিয়েই ঘটনাটি ছেপেছেন।
থমাসের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির আরেকটি অভিযোগ এনেছিলেন অনিতা হিল। অনিতা যখন ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশন ও ইউএস ইকুয়াল এমপ্লয়মেন্ট অপরচুনিটি কমিশনে কর্মরত ছিলেন, তখন তাকে হয়রানি করেছিলেন থমাস। মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ বিচারক থমাস এই অভিযোগও অস্বীকার করেন। সিনেট শুনানিতে তিনি একে কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে উচ্চ পর্যায়ের নিগ্রহ বলে অভিহিত করেন। সিনেটও শুনানি শেষে তার পক্ষেই রায় দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *