প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্প হেরে গেলে সশস্ত্র বিপ্লবের (আর্মড রেভ্যুলুশন) ডাক দিতে পারেন সাবেক রিপাবলিকান জো ওয়ালশ। তার এক টুইটারে এমন প্রচ্ছন্ন হুমকি দেয়া হয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ের সাবেক টি পার্টি কংগ্রেসম্যান। বর্তমানে রক্ষণশীল একটি রেডিও টকশো উপস্থাপক। তিনি টুইটারে লিখেছেনÑ ‘৮ই নভেম্বর আমি ট্রাম্পকে ভোট দিচ্ছি। ৯ই নভেম্বর যদি দেখি ট্রাম্প হেরে গেছেন তাহলে আমি বন্দুক হাতে তুলে নেবো। আপনি আছেন তো?’ এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন। এতে বলা হয়েছে এমন টুইটের মাধ্যমে ভয়ঙ্কর এক হুমকি দিয়েছেন। তবে এটাই প্রথম নয়। তিনি এর আগেও এমন হুমকি দিয়েছেন। ডালাসে গোলাগুলির পর তিনি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিষয়েও এমন বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। টুইটারে সর্বশেষ করা ওই মন্তব্যের বিষয়ে তার সঙ্গে টুইটারে যোগাযোগের চেষ্টা করে সিএনএনের সাংবাদিক জ্যাক ট্যাপার। তিনি ওয়ালসের কাছে জানতে চানÑ তিনি ওই টুইটের মাধ্যমে আসলে কি বুঝাতে চেয়েছেন? এর জবাবে ওয়ালস বলেছেন, এর মাধ্যমে আমি প্রতিবাদের কথা বোঝাতে চেয়েছি। এর মধ্য দিয়ে জন অসন্তোষে অংশ নেয়ার কথা বুঝিয়েছি। আমাদের দেশকে পশ্চাতে নিয়ে যাওয়ার যে চেষ্টা তার প্রতিবাদ বুঝিয়েছি। তবে তার ওই টুইটের নিন্দা জানিয়েছেন অস্ত্র সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক ব্রাডি ক্যাম্পেইন টু প্রিভেন্ট গান ভায়োলেন্সের প্রেসিডেন্ট ড্যান গ্রোস। তিনি বলেছেন, জো ওয়ালস অব্যাহতভাবে যে সহিংসতামুলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন তার কোনো স্থান নেই আমাদের রাজনৈতিক পরিবেশে। এর আগে ডালাসে পুলিশ অফিসারদের ওপর গ্রীষ্মে গুলি চালানোর সময়ও তিনি টুইট করেছিলেন। লিখেছিলেন, ডালাসের ৩ পুলিশ নিহত। আহত ৭। এখন এটা একটা যুদ্ধ। ওবামাকে দেখ। আমাদের কালো জীবন (ব্লাক লাইভস) দেখ। আপনার সামনে প্রকৃত আমেরিকা বেরিয়ে আসছে। ওই সময় জো ওয়ালস সিএনএনের ডন লেমোনকে বলেছিলেন, তিনি তার বক্তব্যের পক্ষে অনড়। যদি আমরা ওই টুইট থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করি তাহলে টুইটারই বলে দেবে আপনার একমাত্র পথ। তবে ওই সময় জো ওয়ালসের এ বক্তব্যের জবাবে ট্ইুটার কিছু বলে নি। তারা নিজেদের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার কারণে এমনটা করেছে। টুইটারের পলিসি তুলে ধরে এর একজন মুখপাত্র নু ওয়েক্সলার বলেছেন, টুইটার ব্যবহারকারীরা এটা ব্যবহার করে সহিংসতা বা হুমকি দিতে পারেন না। সন্ত্রাসী হুমকি বা উস্কানি দিতে পারেন না।