গাজীপুর; কালিয়াকৈর উপজেলার কুতুবদিয়া এলাকায় নিজের ঘর থেকে মুন্নি আক্তার (১৩) নামের এক স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্থানীয় আরাফাত সরকার মঙ্গলবার ভোরে ঘরে ঢুকে মুন্নিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মুন্নি কুতুবদিয়া নয়াপাড়া এলাকার শহীদ মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় চাপাইর বিবিএ উচ্চবিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। পুলিশ বলছে, ঘটনার পর থেকে আরাফাত পলাতক।
মুন্নির স্বজনদের ভাষ্য, গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কালিয়াকৈর উপজেলার চাপাইর ব্যাপারীপাড়া এলাকার আতাউর সরকারের ছেলে আরাফাত দীর্ঘদিন ধরে মুন্নিকে বিদ্যালয়ে যাওয়া–আসার পথে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। তাকে কয়েক দিন পথরোধ করে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হলে কিছুদিন ধরে রাস্তাঘাটে তাকে একা পেয়ে টানাহেঁচড়াসহ নানাভাবে উত্ত্যক্ত করত। গত সোমবার রাতে পাশের এক বাড়িতে গানের অনুষ্ঠানে যায় তার পরিবারের লোকজন। এ সময় আরাফাত কৌশলে মুন্নির ঘরে ঢুকে ঘুমিয়ে থাকা মুন্নিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। মঙ্গলবার ভোরে মুন্নির মা-বাবা বাড়িতে ঢোকার সময় আরাফাতকে পালিয়ে যেতে দেখেন। ঘরে গিয়ে মুন্নির মরদেহ খাটের ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে এবং পুলিশে খবর দেন। পুলিশ দুপুর ১২টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে।
মুন্নির মা রিমা বেগম আহাজারি করে বলেন, ‘প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আরাফাত মেয়েটারে মাইরা ফালাইছে।’ বাবা শহীদ মিয়ার অভিযোগ, মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করার বিষয়টি আরাফাতের মা-বাবাকে জানালেও তাঁরা শাসন করেননি। ওরা প্রভাবশালী বলেই ওদের ভয়ে থানায় যেতে পারেননি।
কালিয়াকৈর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, স্কুলছাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। এর প্রতিবেদন পাওয়ার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে যে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা। এ ছাড়া অভিযুক্ত আরাফাত ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলছে।