পুলিশ বলছে, এলাকার মাদকসেবীরা এ ঘটনা ঘটাতে পারে।
এই চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলো আফান উল্লাহ উচ্চবিদ্যালয়, মাহিগঞ্জ কিন্ডারগার্টেন, মাহিগঞ্জ বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় এবং মাহিগঞ্জ সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়।
মাহিগঞ্জ বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জাহানারা বেগম বলেন, দুর্বৃত্তরা তাঁর কক্ষের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে কাগজপত্র তছনছ করেছে এবং আলমারিতে থাকা ১৯ হাজার ৭৫৮ টাকা নিয়ে গেছে। মাহিগঞ্জ সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষের তালা ভেঙেও কাগজপত্র তছনছ করেছে দুর্বৃত্তরা।
আফান উল্লাহ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, দুর্বৃত্তরা তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে আসবাবপত্র ভেঙে কাগজপত্র তছনছ করেছে। একই কায়দায় মাহিগঞ্জ কিন্ডারগার্টেনেরও কাগজপত্র তছনছ করা হয়েছে। এই বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী মেহের আলী বলেন, মুখোশ পরা ১০ থেকে ১২ জন যুবক সীমানাপ্রাচীর টপকে ভেতরে ঢুকে তাঁকে একজন দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। অন্যরা তিনটি কক্ষের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে কাগজপত্র তছনছ করে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি এ বি এম জাহিদুল ইসলাম বলেন, মাদকসেবীরা এ কাজ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেই আলাদা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।