গাইবান্ধার সংবাদ

Slider গ্রাম বাংলা রংপুর

9
গাইবান্ধায় নদী গর্ভে বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেল ৩৫০ শিক্ষার্থীর লেখাপড়া

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা প্রতিনিধি; ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের শিকার হয়েছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের ২ নাম্বার ওয়ার্ডের গোঘাট গ্রামের কলমু এসএমসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। এই কুলনাশিনী নদীর মাঝপথে দাঁড়িয়ে থাকা বিদ্যালয়টি ভেঙে পড়ায় ৩৫০ শতাধিক শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আফরোজা বেগম জানান, শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সাড়ে ৩ শতাধিক ছাত্র/ছাত্রী নিয়ে বিদ্যালয়টি বেশ ভালই চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের শিকার হয় বিদ্যালয়টি। এতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে পড়েছে।

বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সালমা খাতুন জানান, স্কুলটি নদীতে ভেঙে যাওয়ায় তাদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে বাড়িতেও লেখাপড়ায় মন বসছে না। এখন বছরের শেষ সময় হওয়ায় অন্য স্কুলেও ভর্তি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

ওই শিক্ষার্থীর বাবা আব্দুল সাত্তার জানান, বিদ্যালয় ভবনটি নদী ভাঙনের শিকার হওয়ায় মেয়ের লেখাপড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছি।

উপজেলার কামারজানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, ইতোপূর্বে ভাঙনের কবল থেকে বিদ্যালয়টি রক্ষায় এলাকাবাসী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। তারপরও স্কুলটিকে বাঁচানো যায়নি।

গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল মমিন খান জানান, অনেক চেষ্টা করেও ভাঙনের কবল থেকে বিদ্যালয়টি রক্ষা করা যায়নি। পরবর্তীতে পানি শুকিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে একটি বাঁধ নির্মাণের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, আপাতত ওই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সোলায়মান আলীর বাড়িতে অস্থায়ীভাবে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২ মাস পূর্বে ঘটা করে জামকালো বিয়ে হলেও বর্ষার পাত্তা পাচ্ছে না রাজা

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ প্রায় দুমাস অতিবাহিত হলেও রংপুর চিড়িয়াখানার সিংহ রাজা ও সিংহী বর্ষার মধ্যে ভাব জমে ওঠেনি। তবে কর্তৃপক্ষের আশা খুব শিগগিরই তাদের মধ্যে ভালবাসা তৈরি হবে। ঘটবে দীর্ঘদিনের একাকীত্ব জীবনের ইতি।

রংপুর চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গেছে, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দীর্ঘদিনের একাকীত্ব জীবনের ইতি ঘটাতে সিংহ রাজার সাথী হিসেবে ২৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা থেকে রংপুর চিড়িয়াখানায় আনা হয় সিংহী বর্ষাকে। এর একদিন পর রংপুর চিড়িয়াখানা থেকে সিংহ রাজার ভাই বাদশাকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় স্থানান্তর করা হয়। দুই ভাগে বিভক্ত রংপুর চিড়িয়াখানার লোহার খাঁচার একটি অংশ রাখা হয় বর্ষাকে। অন্য অংশে আছে রাজা।

দূরে সরে যাওয়া ভাইয়ের বেদনায় কিছুদিন রাজা ভাবলেশহীন থাকলেও এখন নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে অনেকটা। অথচ চট্টগ্রাম থেকে আসা বর্ষা এখনও নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেনি। বোনের কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়ার বেদনায় এখনও সে কাতর। এ কারণে সে বদমেজাজি।

এদিকে, ভাব জমাতে প্রতিদিন বর্ষার কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছে রাজা। বড় ধরনের বিপদ হতে পারে এমন আশঙ্কায় বেশিক্ষণ তাদের একসাথে রাখা হচ্ছে না। তাদের দেখভালের জন্য রাখা হয়েছে একজন তত্ত্বাবধায়ক।

রংপুর চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধায়ক নজরুল ইসলাম জানান, ভাব জমাতে প্রতিদিন সকালে তাদের একসাথে করা হলেও এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর আবার তাদের বিচ্ছিন্ন করে রাখা হচ্ছে। এভাবেই হয়তো একদিন তাদের মধ্যে ভাব জমে উঠবে।

তিনি জানান, বর্ষা বদমেজাজি, অন্যদিকে রাজা অনেকটাই শান্ত। বর্ষা ও রাজার জন্য প্রতিদিনের বরাদ্দ ১৪ কেজি করে গরুর মাংস। চিড়িয়াখানাতেই প্রতিদিন গরু জবাই করে তাদের তাজা মাংস দেওয়া হচ্ছে।

সূত্র মতে, রংপুর চিড়িয়াখানায় ২০০৭ সালের ২৭ জানুয়ারি সিংহ সম্রাট ও সিংহী লাইলীর পরিবারে রাজা ও বাদশার জন্ম হয়। ২০১১ সালে সম্রাট ও লাইলীর মৃত্যুর পর থেকে একই খাঁচায় বেড়ে ওঠে রাজা ও বাদশা।

এর আগে সম্রাট ও লাইলী পরিবারে জন্ম নেওয়া ২টি সিংহ শাবকের মৃত্যু হয়। ২০০৫ সালের ১৬ জুন নোভা ও বর্ষার জন্ম চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়। তাদের জন্মের কিছুদিন পর মা লক্ষ্মী ও বাবা বাহাদুর মারা যায়। এর পর থেকে দুই বোন সেখানে একসাথে বেড়ে ওঠে।

পলাশবাড়ীতে সেই শৈশবের মার্বেল খেলা বিলুপ্তির পথে

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ শৈশব বা কৈশরে গ্রাম আর মফস্বলের ছেলেরা মার্বেল দিয়ে নানা রকম খেলা খেলেনি, নিকেদপক্ষে দেখেনি-এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া নিশ্চয় কঠিন। তবে চির পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে বদলায় সব। কেবল পোশাক, খাদ্য বা ব্যবহার্য জিনিসেই নয়, মানুষের রুচি বদলায় খেলাধুলাতেও। আর এই রুচি বদলের ঢেউয়ে কাটা পড়ছে মার্বেল খেলা।

এখন আর গ্রামের পথে প্রান্তর বা খোলা জায়গায় দল বেঁধে কিশোরদের মার্বেল নিয়ে সেভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। অথচ বছর বিশেক আগেও দেখা গেছে এই চিত্র। মায়ের বকুনি আর বাপের লাঠি নিয়ে দৌঁড়ানো উপেক্ষা করে শিশু-কিশোররা খেলেছে এই খেলা।

লুঙির কুজোয় গড়াগড়ি করতো মার্বেল। এ পাড়ার, ওপাড়ার ছেলেরা একসাথে মেতে ওঠতো খেলায়। হতো প্রতিযোগিতাও। যদিও মার্বেল খেলাকে তখন বাজে অভ্যাস বা নেশা কিংবা খারাপ হিসেবে মনে করা হতো, তারপরেও একতা শেখাতো খেলাটি, বৃদ্ধি করতো সম্পর্ক।

এই খেলায় নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকে। একেক এলাকায় একেকভাবে খেলা হয় মার্বেল। তাই সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়ম কানুন নেই। তবে যারা খেলে আর যারা দেখে, তাদের সবার মধ্যে আনন্দ কিন্তু একই রকম।

তথ্য প্রযুক্তি বিকাশের যুগে ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়া লেগেছে গ্রামেও। মানুষের আর্থিক উন্নতি হচ্ছে, ঝোঁক বাড়ছে পড়াশোনা আর আয়বর্ধক কাজে। খেলার সময় যেমন থাকছে না শহরের ছেলেদের, তেমনি এখন গ্রামীণ পরিবেশেও খেলার জন্য একটু সময় করা ভীষণ অভাব ছেলেদের।

স্মার্টফোন সহজলভ্য হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢু মেরেই সময়টা পার করতে পছন্দ করে কিশোররা। একা বা জোটবদ্ধ হয়ে সব আড্ডাতেই এখন এই এক বস্তু নিয়েই মাতামাতি। দেশ বিদেশের কোথায় কী ঘটছে, বিনোদন দুনিয়ার সবশেষ পরিস্থিতি কী, রাজনীতি, অর্থনীতির হাওয়া কোন দিকে- এসব নিয়েই কিশোররা কথা বলে, আড্ডা দেয়।

খেলাধুলার মধ্যে ক্রিকেটই এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় সারা দেশেই। সঙ্গে কিছুটা ফুটবল-এই তো। এক সময়ের গ্রামীণ খেলা হা ডু ডু, দাড়িয়াবান্ধাই আর চোখে পড়ে না। জাতীয় খেলা কাবাডি এখনকার ছেলেদের কয়জন খেলতে পারে-সেটাও এক বিরাট প্রশ্ন। এই বাস্তবতায় মার্বেল খেলা দেখার আনন্দ পাওয়া তো এক বিরল ঘটনাই হওয়ার কথা। তবে কোথাও কোথাও যে একেবারেই দেখা যাবে না, তা কিন্তু নয়।
বিপদগ্রস্ত সর্বশান্ত পরিবার ও ব্যাক্তির পাশে সব সময় প্রশাসন থাকবে
——- ইউ এন ও পলাশবাড়ী
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ প্রাকৃতিক দুর্যোগ দুর্ঘটনা ও অগ্নিকান্ডে নিস্ব অসহায় সর্বশান্ত পরিবার ও ব্যাক্তিদের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে সব সময় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন পাশে থাকবে।তাদের প্রয়োজনীয় সরকারী সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করবে।এটা শুধু প্রশাসনের দায়িত্ব নয়, মানব সেবা।

শনিবার সন্ধায় উপজেলার বেতকাপা ইউপির খামার নড়াইল গ্রামের মৃত ননজির হোসেনের ছেলে জামাল হোসেনের অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ী পরিদর্শন শেষে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপরোক্ত কথা বলেন, তিনি আর ও বলেন বর্তমান জেলা প্রশাসক অত্যান্ত নীতিবান ও সহৃদয়বান ব্যাক্তি আপনারা উপজেলা পর্যায়ে আবেদন করেন আমরা মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়কে শুপারিশ করবো প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য। তিনি আবেদনের যথাযথ গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকারী তহবিল হতে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবেন।

এ সময় তিনি ক্ষতি গ্রস্থ পরিবারকে সান্তনা দেন এবং তার নিজ তহবিল হতে ক্ষতি গ্রস্থ পরিবারের মাঝে তাৎক্ষনিক নগত টাকা,শাড়ী,লুঙ্গি কম্বল,চাল,ডাল,তেল,আলু,লবন ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করেন।এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম, ইউপি সদস্য, ছাড়াও গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পল্লীবিদুৎ এর মিটার বাষ্ট হয়ে ওই বাড়ীতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে এতে প্রায় সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে যায।
পলাশবাড়ীতে সমন্বয় হীনতার কারনে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর হ- য- ব- ল অবস্থা

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যাক্তিদের সমন্বয় হীনতার কারনে এ প্রকল্প হ য ব র ল অবস্থা বিরাজ করছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানাযায় বর্তমান সরকারের অগ্রাধিক প্রকল্প এই খাদ্য বান্ধব কর্মসুচী। এই কর্মসুচীর আওতায় একজন দুস্থ অসহায় ব্যাক্তি ১০ কেজি চাল দৈনিক ১ কেজি হারে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল ৩০০ টাকায় ক্রয় করতে পারবে।এ উপজেলার মোট বরাদ্দের মধ্যে ৯ টি ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা অনুপাতে প্রতিটি ইউনিয়নে বরাদ্দ বিভাজন করা হয়।

বরাদ্দ অনুযায়ী দুস্থ অসহায় গরীব ব্যাক্তিদের তালিকা প্রনয়নে দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের একজন সরকারী কর্মকর্তা যে হবে খাদ্যবান্ধব ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি, পদাধিকার বলে সংশ্লিষ্ট ইউপি সচিব হবে কমিটির সদস্য সচিব, সংশ্লিষ্ট ইউ পি চেয়ারম্যান ইউ,পি সদস্যরা ছাড়াও ২ জন গন্যমান্য ব্যাক্তিরা এই কমিটির সদস্য এদের সমন্বয়ে সরকারি নীতিমালা যথাযথ গুরুত্ব বিবেচনা পুর্বক তালিকা প্রনয়ন করে উপজেলা কমিটিতে প্রদান করার কথা।

উপজেলা কমিটি সরকারী নীতিমালা উপর গুরুত্ব দিয়ে তালিকা অনুমোদন পুর্বক সরকার নিয়োগকৃত ডিলারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ডিলারের জনসংখ্যা অনুযায়ী প্রাপ্ত খাদ্যশস্যের বিতরনের নিমিত্তে ডিও প্রদান করা করা সহ সুস্থ ভাবে বিতরন কার্যক্রম পরিচালনায় সকল প্রকার সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনা প্রদান করবে।

পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ তোফাজ্জল হোসেন বরাদ্দ প্রাপ্তির পড় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নে জনসংখ্য মোতাবেক বরাদ্দ বিভাজন করে ইউনিয়ন কমিটিকে নিদ্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক তালিকা প্রস্তুত করতঃ উপজেলা কমিটিতে প্রদানের জন্য নির্দেশ ক্রমে অনুরোধ জানান।

কিন্তু গত সেপ্টম্বর মাসের ২৮ তারিখের মধ্যে অধিকাংশ ইউনিয়ন তালিকা জমা না দেওয়ায় সেপ্টেম্বর মাসের খাদ্যশস্য বিতরনে অনিশ্চিত হয়ে পরে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন সংশ্লিষ্ট সকলকে তালিকা প্রদানের জন্য করা হুশিয়ারী দিলে ৯ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫ টি ইউনিয়ন তরিঘড়ি করে তালিকা প্রদান করেন।

স্বল্প সময়ে তালিকা যাচাই বাছাই করা সম্ভব না হওয়ায় ৩০ সেপ্টেম্বর এ উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের উপকার ভোগীদের মাঝে সেপ্টেম্বর মাসের বরাদ্দকৃত চাল বিতরন উদ্বোধন করা হয়।

তালিকা প্রনয়নে অনিয়ম,ডিলারের বিরুদ্ধে ওজনে কারচুপি সহ নানা অভিযোগ ওঠলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকারি নির্দেশনার আলোকে তালিকা সংশোধনের জন্য ইউনিয়ন কমিটিকে নির্দেশ ক্রমে অনুরোধ জানান।যা সংশোধন ও সংযোজন কাজ বর্তমানে অধিকাংশ ইউনিয়নে চলমান রয়েছে।এত কিছুর পর একজন ইউএন ওর পক্ষে এতসব সম্ভব হচ্ছেনা।

এখানে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলে সচেতন মহল মনে করেন।ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি,সদস্য সচিব দু জনই সরকারী কর্মকর্তা। পাশাপাশি তদারকি কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন যিনি করছেন তিনি ও একজন সরকারি কর্মকর্তা, যে ডিলার নিয়োগ পেয়েছে তারাও সরকারী দলের তাদের সমন্বয়ে হচ্ছে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়ম।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এত হুশিয়ারি হুংকারের পড় ও সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে কি করে এত সব অনিয়ম হচ্ছে?

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার উপস্থিত ছাড়াই ডিলাররা কিভাবে খাদ্যশস্য উত্তোলন ও বিতরন শুরু করেন? কি ভাবে ডিজিটাল মিটারে ডিজিটাল ভাবে কারচুপি হয়? আর এসব চাল কি ভাবে কালো বাজারে চলে যায়? নিশ্চিত বিতরন স্পট গুলোতে তদারকি কর্মকর্তা সঠিক সময় উপস্থিত হয় না যখন তিনি উপস্থিত হয় ততক্ষণে ৫০ ভাগ বিতরন সম্পন্ন হয়।

শুধু তাই নয় কোন ইউনিয়ের কতজন উপকার ভোগী সেপ্টেম্বর মাসের চাল পেয়েছে কতজন পায় নি।আবার কতজন অক্টোবর মাসের চাল পেয়েছে কতজন পায়নি আপাতত নিদিষ্ট কোন হিসাব উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা দিতে পারে নাই।

শুধু তাই নয় একজন ডিলারের হাতে ৫০ থেকে ১০০ টি কার্ড রয়েছে যারা বিভিন্ন লোক দিয়ে এসব চাল কালোবাজারে বিক্রি করেন।এখানে রক্ষক ভক্ষকের ভুমিকায় অবতীর্ন বলে সচেতন মহল মন্তব্য করেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর ডিলারদের বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি জনাব আবু বক্কর প্রধান বিগত মাসিক আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ব্যাপক সমালোচনা করেন।এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে আর ও সদয় দৃষ্টি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহমান সভায় একই কথা জানান।এ সময় অনিয়ম বন্ধে ইউ এন ও তাদের আশ্বস্ত করেন।একই সভায় পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুজিবুর রহমান পিপি এম জানান খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর চাল কালো বাজারীর সময় বেতকাপা ইউপি থেকে ৮ বস্তা চাল পুলিশ আটক করেছে।এ ব্যাপারে থানার এস আই নাজমুল হক লিটন বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ২ জন সহ মোট ২০ জন কে আসামী করে থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেছে।এ প্রকল্পের চাল কালোবাজারি করার চেষ্টা করলে সে যেই হোক পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করবে। তবে সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে কেবল এত সব অনিয়ম বন্ধ করা সম্ভব বলে অনেকে মতামত ব্যাক্ত করেন।

নানা কারনেই পলাশবাড়ী উপজেলার খাদ্যবান্ধব প্রকল্পের সাফল্য আজ প্রশ্ন বিদ্ধ। উপজেলার সচেতন মহল মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর খাদ্যবান্ধব প্রকল্পের এসব দুর্নিতী অনিয়ম বন্ধে জেলা প্রশাসক,বিভাগীয় কমিশনার,খাদ্য মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী সচিব সহ উদ্ধোতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।।
গাইবান্ধায় স্কুলছাত্রীর চুল কেটে দিয়েছে দুরবৃত্তরা আটক ২

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের রাধাকৃষ্ণপুর ইটলিরভিটা গ্রামের এক স্কুলছাত্রীর (১৫) চুল কেটে দিয়েছে এক দল দুরবৃত্তরা।

নুরিনা আকতার নামে শিক্ষার্থী পার্শ্ববর্তী রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের হরিণসিংহা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ দুই যুবককে আটক করেছে এবং বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের বাটুল মিয়ার একটি ছাগল ফসল খাওয়াকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার প্রতিবেশী নুরু মিয়ার ছেলে জমির পিটিয়ে মেরে ফেলে।
এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে এক শালিস বৈঠকে ছাগলের মূল্য পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শনিবার সকালের মধ্যে ওই টাকা পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু টাকা পরিশোধ না করায় দুই প্রতিবেশীর মধ্যে ঝগড়া হয়।

এক পর্যায়ে নুরু মিয়ার মেয়ে নুরিনা আকতার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের বাটুল মিয়ার ছেলে আরিফ মিয়া (২০), আলম মিয়ার ছেলে রাকিব মিয়া (১৮) এবং আব্দুস সালামের ছেলে আশিক মিয়া (১৮) তাকে আটকায়।

আটকের পর তারা তাকে মারধর করে হাতের ঘড়ি ও গলার স্বর্ণের চেন ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে ওই দুরবৃত্তরা নুরিনা আক্তারের মাথার চুল কেটে ফেলে।

খবর পেয়ে এ সময় নুরু মিয়ার লোকজন এগিয়ে গেলে ওই যুবকরা পালিয়ে যায়। এ নিয়ে শনিবার বিকালে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হলে পুলিশ বাটুল মিয়া এবং তার ভাই আব্দুস সালামকে আটক করে।

সদর থানার ওসি কেএম মেহেদী হাসান জানান, এ ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। দুইজনকে আটক করা হয়েছে, বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে।
গোবিন্দগঞ্জে মাদক নির্মূল অভিযানে মহিলাসহ ৮৩ মাদক ব্যবসায়ী আটক

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ গাইবান্ধার গোবিন্দঞ্জে গত ৫ দিনে অভিযান চালিয়ে মহিলাসহ ৮৩জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান,উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গত ১৭ অক্টোবর থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মহিলাসহ ৮৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান গাঁজা,ইয়াবা,ফেন্সিডিল ও হিরোইন উদ্ধার করা হয়।তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে ৭৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন,গোবিন্দগঞ্জের মাটিতে কাউকে মাদক ব্যবসা করতে দেয়া হবেনা।মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে অভিযান অব্যহত আছে।

গাইবান্ধার মালিবাড়ী ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণায় জেলা প্রশাসক

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার সদর উপজেলার ২নং মালিবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলী আজম শাহ্ (রুনু)র সভাপতিত্বে বাল্য বিবাহ মুক্ত ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা জেলার জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সামাদ। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদ (ভ্রারপ্রাপ্ত)চেয়ারম্যান মোছাঃরাশেদা বেগম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল মমিন খান,সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসান, জেলা মহিলা বিষয়ক মোছাঃ হাবিবা খাতুন প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে শপথ গ্রহন করেন উপস্থিত অতিথি ও উপস্থিত ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ।।
গাইবান্ধা-রংপুর এশিয়ান সড়কটির বেহাল দশা

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ-পীরগাছা-রংপুর এশিয়ান হাইওয়ে সড়কটি বর্তমানে যানবাহন ও পথচারী চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে সড়কটি অতিব জরুরী পূণঃ সংস্কারের প্রয়োজন।

জানা যায়, সবশেষ ২০০০ সালে সংস্কার করা হয় এই এশিয়ান হাইওয়ে সড়কটি। কাজে ব্যপক অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোনমতে নির্মাণ কাজে শেষ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেড (এএমএল)।

বর্তমানে সড়কটির দু’পাশের মাটি ধ্বসে গিয়ে তা যানবাহ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। আবার কোথাও কোথাও ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে তা যানবাহন চলাচলে বিঘœ ঘটছে। ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। নির্মাণ পরবর্তী এ পর্যন্ত কোন প্রকার পুনঃ সংস্কার না করায় সড়কটির বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে।

ফলে সুন্দরগঞ্জ পূর্ব বাইপাস, শোভাগঞ্জ, ডোমের হাট, মাঠের হাট, ধুবনী কঞ্চিবাড়ি, বামনডাঙ্গাস্থ হল মোড়, ছাইতানতলা, কদমতলাসহ সুন্দরগঞ্জ-গাইবান্ধা-পীরগাছা-রংপুর অংশে প্রত্যহ ঝুঁকি নিয়ে বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন প্রকার যানবাহন চলাচল করছে। তাই এলাকাবাসী সড়%