স্কুলছাত্রী ও বন্ধুকে বিবস্ত্র করে ছবি, চাঁদাদাবী 

Slider গ্রাম বাংলা ফুলজান বিবির বাংলা

90f77f82cb2bfb00aae91759bf72b138-faridpur

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি;  রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে এক স্কুলছাত্রী ও তার বন্ধুকে আটকে বিবস্ত্র করে ছবি ও ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ওই ছাত্রীর করা মামলায় বলা হয়েছে, দুই বখাটে এসব ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে এবং মেয়েটিকে ধর্ষণেরও চেষ্টা করে। গত শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় থানায় ধর্ষণচেষ্টা ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হলেও এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
গত শনিবার রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রীর দায়ের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মাগুরা জেলা সদরের এক তরুণের সঙ্গে সম্প্রতি স্কুলছাত্রীর ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে দেখা করতে গত শুক্রবার রাত আটটার দিকে ওই তরুণ গোয়ালন্দ পৌর এলাকার জামতলায় আসেন। রাত হওয়ায় স্কুলছাত্রী দেখা করতে আপত্তি জানায় তার এই বন্ধুর সঙ্গে। তখন এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে ফোনে কথা-কাটাকাটি হয়। জামতলায় দাঁড়িয়ে তরুণটি যখন এসব কথা বলছিলেন, তখন সেখানে থাকা দুই ব্যক্তি তা শুনতে পেয়ে ওই তরুণকে আটক করে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই দুজন তরুণকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্কুলছাত্রীর বাড়িতে যায়। তরুণের মুঠোফোন থেকে ফোন করে ঘরের দরজা খুলতে বলে। তাতে আপত্তি জানালে ভয়ভীতি দেখানো হয় মেয়েটিকে। একপর্যায়ে দরজা খুলে দিলে ঘরে প্রবেশ করেই বখাটেরা স্কুলছাত্রী ও তার প্রেমিককে বিবস্ত্র করে মুঠোফোনে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। এ সময় বখাটেরা স্কুলছাত্রীর হাতে থাকা দুটি স্বর্ণের আংটি ও একটি দামি টর্চ লাইট নিয়ে নেয় এবং ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। মেয়েটির চিৎকারে বখাটেরা দ্রুত তরুণকে নিয়ে এলাকা ত্যাগ করে।
এজাহারে বলা হয়, স্কুলছাত্রীর বাবা দেশের বাইরে থাকেন এবং ঘটনার দিন তার মা পারিবারিক প্রয়োজনে রাজবাড়ীর এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন। বাড়িতে শুধু স্কুলছাত্রী ও তার নানি ছিল। খবর পেয়ে পরদিন সকালে স্কুলছাত্রীর মা বাড়িতে আসেন। পরদিন মেয়ের কাছ থেকে সব জানার পর গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা করা হয়।
ওই ছাত্রী বলে, মাগুরায় তার বন্ধুর মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করতে পারছে না। ঘটনার তিন দিন পরও পুলিশ কাউকে আটক করতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেছে পরিবারটি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম আজ সোমবার  বলেন, এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক রয়েছে। তবে তাদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *