ট্রাম্প উন্মত্তের মতো চুমু দেয়া শুরু করেন

Slider নারী ও শিশু

35837_sex-acceser

 

ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন আরও দু’ নারী। তারা হলেন মার্কিন সংস্করণ ‘দ্য অ্যাপ্রিনটিস’-এর প্রতিযোগী সামার জারভোস ও অভিনেত্রী ক্রিস্টিন অ্যান্ডারসন। এর মধ্যে সামার সারভোস বলেছেন, ২০০৭ সালে নিউ ইয়র্কে ট্রাম্পের অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তার ঠোঁটে চুমু খেয়েছেন ট্রাম্প। তাকে টেনে নিয়েছেন নিজের বুকের কাছে। জারভোস বলেছেন, তিনি এরপর আমার কাঁধ আঁকড়ে ধরেন এবং উন্মত্তের মতো চুমু দেয়া শুরু করেন। এরপর তার অবাধ্য হাত আমার সারা বুকে বিচরণ করতে থাকে। অন্যদিকে অভিনেত্রী ক্রিস্টিন অ্যান্ডারসন বলেছেন, ট্রাম্প আমার স্কার্টের ভিতর দিয়ে হাত ঢুকিয়ে দেন। স্পর্শ করেন আমার অন্তর্বাস। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি নর্থ ক্যারোলাইনার গ্রিন্সবরোতেক এক র‌্যালিতে বলেছেন, আমি এসব মেয়েকে চিনি না। আমি টেলিভিশনে এসব দেখে মনে হয়েছে এগুলো বিরক্তিকর জিনিস। তাদেরকে সামনে ঠেলে দেয়া হয়েছে। তারা যে অভিযোগ এনেছেন তার কোনো প্রত্যক্ষদর্শী নেই। এগুলো সাজানো। এ খবর দিয়েছে অনলাইন স্কাই নিউজ। উল্লেখ্য, এটাই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির প্রথম অভিযোগ নয়। এর আগে আরও দু’জন নারী একই রকম অভিযোগ করেছেন। তারা হলেন জেসিকা লিডস ও মিসেস রাসেল কুকস। জেসিকা লিডস একটি পেপার কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তিনি বলেছেন, ১৯৮০র দশকের গোড়ার দিকে তিনি একটি ফ্লাইটে করে নিউ ইয়র্কে যাচ্ছিলেন। তার পাশের সিটেই বসা ছিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। এক পর্যায়ে ট্রাম্প ‘আর্মরেস্ট’ বা হাত রাখার হ্যান্ডেলটা উঠিয়ে রাখেন এবং তাকে আলিঙ্গন করা শুরু করেন। ‘তার হাত আমার পুরো শরীর স্পর্শ করতে থাকে’Ñ এমন অভিযোগ করেন জেসিকা।
অন্যদিকে ২০০৫ সালে ট্রাম্পের শিকারে পরিণত হন মিসেস রাসেল কুকস। তখন তিনি ম্যানহাটানে ট্রাম্প টাওয়ারে অবস্থিত বে’রক গ্রুপের একজন রিসিপশনিস্ট। তখন তিনি ২২ বছর বয়সী যুবতী। একদিন লিফটের ভিতর ট্রাম্পের সঙ্গে তার সাক্ষাত হয়ে যায়। তিনি জানতেন তার কোম্পানি ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যবসা করে। তাই তিনি নিজেই ট্রাম্পের কাছে পরিচয় দেন। তারা হ্যান্ডশেক করেন। কিন্তু ট্রাম্প তাতেই থেমে গেলেন না। তিনি রাসেল কুকসকে ধরে চিবুকে চুমু দিতে শুরু করলেন। এরপর তিনি সরাসরি তার মুখে চুমু দিতে শুরু করেন। রাসেল কুকস বলেন, এটা কোনো দুর্ঘটনা ছিল না। এটা ছিল অপরাধ। এটা ছিল ভীষণ অনুচিত। আমি ভীষণ হতাশ হয়ে পড়েছিলাম।
এবার তার বাইরে এসে আরও দু’নারী একই রকম অভিযোগ করলেন। দ্য অ্যাপ্রিন্টিস অনুষ্ঠানের প্রতিযোগী সামার জারভোসের আইনজীবী বলেছেন, ২০০৭ সালে নিউ ইয়র্কে ট্রাম্পের অফিসে তার মক্কেল পৌঁছেলে সেখানে তিনি তার সঙ্গে অসংলগ্ন আচরণ করেন। তিনি জারভোসের সারা শরীর স্পর্শ করেন। জারভোসের বর্তমান বয়স ৪১ কবছর। ট্রাম্প তার দিকে অসংযতভাবে অগ্রসর হন এর কয়েক সপ্তাহ পরে লস অ্যানজেলেসের একটি হোটেলে। জারভোস বলেছেন, ওই সময় ‘খোলা মুখে’ ট্রাম্প তাকে চুমু খাওয়া শুরু করেন। তাকে টেনে নেন নিজের কাছে। আমার শরীরের সব স্থান স্পর্শ করা শুরু করেন। এতে আমি বিব্রত হয়ে যাই। তাকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করি। তার বুকে চাপ দিয়ে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করি। তবে তার এ অভিযোগ অস্বীকার করেন ট্রাম্প। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ওই বছরগুলোতে দ্য অ্যাপ্রেন্সিস প্রতিযোগী ছিল অনেকে। তার মধ্যে একজনকে আমি ঠিকমতো মনেই করতে পারছি না। আরও পরিষ্কার করে বলছি, আমি কখনো তার সঙ্গে সাক্ষাত করি নি। এক দশক আগে তাকে আমি অসংযতভাবে অভিবাদন জানাই নি। মানুষ হিসেবে আমি এমন নই। আমি এভাবে আমার জীবনকে পরিচালিত করি না। এর বাইরে মিডিয়া আমাকে নিয়ে নতুন নতুন সব নোংরা কথা বের করছে। এটা আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য হুমকি। আমেরিকার মানুষের মনে বিষ ঢেলে দেয়া। ওদিকে জারভোসের আগের দিন অভিনেত্রী ক্রিস্টিন অ্যান্ডারসন ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, ট্রাম্প আমার স্কার্টের ভিতর দিয়ে হাত ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি আমার আন্ডারওয়্যারে হাত দিয়েছিলেন। ১৯৯০ এর দশকের শুরুর দিকে নিউ ইয়র্কে চায়না ক্লাবে যখন বন্ধুতের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন সেখানে বসা ছিলেন অভিনেত্রী ক্রিস্টিন। সেখানেই ঘটে ওই ঘটনা। ক্রিস্টিন বলেছেন, তিনি ওই অবস্থায় ট্রাম্পের হাত সরিয়ে দেন। সেখান থেকে সরে যান। এরপরই তিনি জানতে পারেন ওই লোকটির নাম ডনাল্ড ট্রাম্প। ক্রিস্টিন বলেছেন, ওই সময় তার বয়স ছিল ২০ উত্তীর্ণ। নিজে তখন মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার চেষ্টা করছিলেন। ওই সময় ট্রাম্প ছিলেন বড় মাপের একজন সেলিব্রেটি। বেশির ভাগ ট্যাবলয়েড পত্রিকায় ছিল তার ছবি। নিউ ইয়র্ক ক্লাবগুলোতে তিনি ছিলেন নিয়মিত ভিজিটর। ক্রিস্টিনের এখন বয়স ৪৬ বছর। এখন একজন ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করেন। বসবাস করেন ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *