আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকরা স্বাধীন-প্রধান বিচারপতি

Slider বাংলার আদালত বিনোদন ও মিডিয়া সারাদেশ

34773_sinha

 

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি; প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, নীতি ও নৈতিকতা বজায় রাখলেই সমাজে মর্যাদা পাওয়া যায়। প্রচুর টাকা হলেই সম্মান বাড়ে না। নীতি ও নৈতিকতা বজায় রেখে যেকোন ক্ষেত্রে নিজেকে তৈরি করে নিতে পারলেই সম্মান পাওয়া যাবে। সাংবাদিকরা জাতির বিবেক ও রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ^ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকরা স্বাধীন। সেখানে অনেকে সাংবাদিক করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। বাংলাদেশেও এ ধরণের কিছু সাংবাদিক রয়েছেন। তারা আদর্শ নিয়ে কাজ করতে ভালবাসেন
বৃহস্পতিবার বিকালে প্রধান বিচারপতির জন্মভূমি কমলগঞ্জের তিলকপুরস্থ গ্রামের বাড়িতে কমলগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকরা সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে প্রধান বিচারপতিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সাংবাদিকরা।
দীর্ঘ আলাপচারিতায় শিক্ষা ও আইন পেশার কিছু স্মৃতিচারণ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, এ পর্যায়ে আসতে আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। তবে কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করিনি। আদর্শ ও যোগ্যতার মধ্যদিয়ে বেড়ে উঠলে কারো কাছে ধর্না দিতে হয় না।
সাংবাদিকরা জাতির বিবেক ও রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ^ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকরা স্বাধীন। সেখানে অনেকে সাংবাদিক করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। বাংলাদেশেও এ ধরণের কিছু সাংবাদিক রয়েছেন। তারা আদর্শ নিয়ে কাজ করতে ভালবাসেন। যোগ্যতা অর্জন করলে কোন কিছুই আটকাতে পারে না। প্রচুর টাকার সামাজিক মূল্য নেই। কিছু মানুষ টাকার পেছনে গিয়ে নীতি হারা হয়ে যায়। যেখানে টাকা থাকে না সেখানে স্থায়িত্ব পাওয়া যায়। টাকা স্থায়ী নয়। নীতি ও নৈতিকতা বজায় রাখতে পারলে আর সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করলে কখনও বিচ্যুত হতে হবে না।
প্রধান বিচারপতি বলেন, মানুষ চরম শিখরে উঠলে গ্রামে আসে না। কিন্তু আমি গ্রামীণ পরিবেশেই থাকতে চাই। যখন সুযোগ পাই,বাড়িতে চলে আসি। এই গ্রামেই আমার জন্ম। বড় হওয়া, বেড়ে ওঠা এবং সফলতা অর্জন। নীতি, আদর্শ নিয়ে এ গ্রামেই অবসর জীবন কাটাতে চাই। তাই বাড়িতে একটি ঘর করেছি। আমি আমার বাবার নামে একটি লাইব্রেরি করেছি। বর্তমানে লাইব্রেরিটির নতুন ভবনের কাজ চলছে। এই লাইব্রেরীতে থাকা বই পড়তে দেশ বিদেশের অনেকেই আসবে। এটিই হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় লাইব্রেরি জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি নিজের নামের জন্য কাজ করা পছন্দ করিনা। মানুষের কল্যাণে কাজ করে তৃপ্তিবোধ করি। পর্যটন এলাকা হিসেবে প্রকৃতি ও পাহাড় রক্ষায় স্থানীয় সাংবাদিকদের ভুমিকা রাখারও আহবান জানান প্রধান বিচারপতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *