পাক-ভারত মিডিয়া যুদ্ধ

Slider টপ নিউজ

33840_ind

 

কেউ  আবার যুদ্ধবাজ হয়ে যান মোহরের প্রিয় প্রলোভনে। কবির কথা সত্য করে দিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মিডিয়া কি যুদ্ধবাজ হয়ে গেছে? কিসের প্রলোভন তাদের। সংবাদ বিক্রি। মোহর। অন্ধ দেশপ্রেম। মানুষ কি যুদ্ধ ভালোবাসে।
কে যেন বলেছিলেন, যেকোন যুদ্ধের প্রথম শিকার হচ্ছে সত্য। যুদ্ধের দামামা যখন বাজতে থাকে তখন শুরুতেই মারা যায় সত্য। সেনাপতিরা, রাজনীতিবিদেরা, এখন দেখছি কথিত গণমাধ্যম যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই মিথ্যা বলতে শুরু করেছে। উরি হামলার পর থেকেই প্রকট, তীব্র রূপে শুরু হয়েছিল সেটা। শুরুটা ভারতীয় মিডিয়াই করেছিল। পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী সেনাবাহিনীর ১৮ সৈন্য নিহত হওয়া মর্মবেদনা বিরাট। এ নিয়ে সংশয় নেই কারও। থাকার কথাও নয়। পুরো ভারতই ফুঁসে উঠে সে ঘটনায়। বিস্ময়কর হলেও সত্য ভারতের সেনাবাহিনী এবং রাজনীতিবিদেরা যথেষ্ট সংযমের পরিচয় দেন। চারদিকে যখন যুদ্ধের দামামা দলীয় সমাবেশে আশ্চার্য, নিরুত্তাপ দেখা যায় নরেন্দ্র মোদিকে। গরিবী হটানোর যুদ্ধে নামার জন্য তিনি আহবান জানান পাকিস্তানের প্রতি। কিন্তু সবচেয়ে আগ্রাসীরূপে দেখা মিলে ভারতীয় মিডিয়ার। পারলে যেন সংবাদমাধ্যম নিজেই যুদ্ধে নেমে যায়। একের পর এক চলে উস্কানি। মারা যায় সত্য। অর্ধ-সত্য আর মিথ্যার রাজত্ব চলে। একটি সংবাদপত্রতো রীতিমতো জরিপ আয়োজন করেই বুঝিয়ে দেয় সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতীয় যুদ্ধ চায়।
বিজেপির কট্টরপন্থী অংশ আর মিডিয়ার চাপেই বুঝি যুদ্ধ লাগি লাগি করছে। ভারতীয় সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে সার্জিক্যাল অপারেশনের দাবি করা হয়েছে। এ অপারেশনের দাবি অস্বীকার করলেও পাকিস্তান এটা স্বীকার করে নিয়েছে, তাদের দুই সৈন্য নিহত হয়েছে। এরপর থেকেই নানামুখী দাবি। স্বীকার, অস্বীকার চলছে। ভারতীয় মিডিয়ায় এক রকম খবর। তো পাকিস্তানি মিডিয়ায় ঠিক বিপরীত মুখী খবর। কোনটি যে সত্য বুঝা দায়। আন্তর্জাতিক মিডিয়াও নিরপেক্ষ সূত্র থেকে খবর প্রচার করতে পারছে না। সবমিলিয়ে পাক-ভারত যুদ্ধের দামামার মধ্যে মারা গেছেন সত্য বাবু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *