হাইওয়ে পুলিশের প্রতিবেদন ৪৪ মহাসড়কের বেহালদশা

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

 

8c4335466c4dfa52f3bd7411e4e6a7dd-photo_hasan-raza
ঢাকা: বেহাল অবস্থায় দেশের ৪৪ মহাসড়ক। এসব মহাসড়ক গুলোতে বড়, ছোট ও মাঝারি সাইজের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কিছু কিছু মহাসড়কে কার্পেটিংয়ের কাজ চলছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। সড়ক ও মহাসড়কের বর্তমান অবস্থা ও যান চলাচল নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে হাইওয়ে পুলিশ থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ৩০শে আগস্ট এ প্রতিবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠায় পুলিশ দপ্তর। প্রতিবেদনে ২৬টি জেলার মহাসড়কগুলোর দুরবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সিলেট-জাফলং মহাসড়কের দুরবস্থার কথা প্রতিবেদনে সবচেয়ে বেশি বলা হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মল্লিক ফখরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে হাইওয়ে পুলিশ নিয়ন্ত্রণাধীন মহাসড়কের বর্তমান অবস্থা ও যান চলাচল সম্পর্কে হাইওয়ে পুলিশের চার রিজিয়নের পুলিশ সুপার থেকে প্রতিবেদন পাওয়া যায়। এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পাঠানো হলো। প্রতিবেদনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চারটি স্থানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লার পদুয়াবাজার রেললাইনের দুই পাশে ৫০০ গজ সম্পর্কে বলা হয়, পদুয়ার বাজার ওভারব্রিজের ঢাকামুখী লেন সম্পন্ন হলেও চট্টগ্রামমুখী লেনের কাজ শেষ হয়নি। এ কারণে পুরাতন রাস্তার কিছু কিছু স্থানে ছোট-বড় খানাখন্দ থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। ঈদের আগে এ কাজ শেষ না হলে যানজট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই স্থানে নতুন রোড ডিভাইডার ও ফুটওভার ব্রিজ স্থাপনের কাজ চলছে। এটি দ্রুত শেষ করা প্রয়োজন। ঢাকা-চট্টগ্রাম ফোর লেনের বাতিশা ও সানকোড়া বাইপাস সম্পর্কে বলা হয়েছে, চার লেন প্রকল্পের পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার কাজ শেষ হয়নি। চার লেনের এক লেন বন্ধ রয়েছে। ফতেহপুর রেল গেইট সম্পর্কে বলা হয়েছে, ফতেহপুর রেল গেইটের ওভারব্রিজের কাজ শেষ হয়নি। ওই স্থানে ছোট-বড় খানাখন্দ আছে। মহিপাল মোড় নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ছয় লেন ও ওভারব্রিজের কাজের জন্য মহাসড়কের দুই পার্শ্বের সড়ক বন্ধ করে উভয় পার্শ্বের ডাইভারসনে গাড়ি চলাচল করছে। ডাইভারসন রোডে ছোট-বড় গর্ত রয়েছে। এ কারণে বর্তমানে ওই জায়গায় সব সময় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ঈদের সময় যানজট আরো তীব্র হতে পারে। ডাইভারসন রোডে ছোট-বড় গর্তগুলো ঈদের আগেই সংস্কার করা প্রয়োজন। প্রতিবেদনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দুটি স্থানের দুরবস্থার কথা তুলে ধরা হয়। বলা হয়, বেল্লাগাড়া ব্রিজ থেকে ইন্দ্রপুল ব্রিজ পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশের মাটি/ইট/ বালু সরে গেছে। ফলে রাস্তার প্রশস্ততা কমে গেছে। এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাইমাইল থেকে দেওয়াপিয়াবাড়ী আঞ্জুমান সিএনজি পাম্প পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার কথাও প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা থানার কাঠালী এলাকার রাস্তায় কার্পেটিং না থাকার কথা বলা হয়েছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ছয়টি স্থান নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের সৈয়দপুর, মিনাজপুর এবং সিলেটের ওসমানীনগর থানার অধীন কাগজপুর ব্রিজ ও সাহাবাজপুর ব্রিজের দুই পাশের ১৫০ মিটার রাস্তার অবস্থা শোচনীয়। এসব রাস্তায় আনুমানিক ২০ গজের মধ্যে ছোট ছোট গর্ত রয়েছে। এসব গর্ত ভরাট ও পিচ ঢালাই করা প্রয়োজন। একই মহাসড়কের রূপগঞ্জ অংশের দুইটি স্থানে ৩-৫ ইঞ্চি গর্ত ও উপরের পাথর উঠে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের প্রতিবেদনে সিলেট-জাফলং মহাসড়কের ১০টি স্থানে এক ফুট গভীর গর্ত থাকার কথা বলা হয়। এর মধ্যে সাতটি গর্ত সিলেটের জৈন্তাপুর থানায় অবস্থিত। এসব গর্ত ভরাট ও কার্পেটিং করার সুপারিশ করা হয়েছে। ঢাকা- মৌলভীবাজার মহাসড়কের দুইটি স্থানে গর্ত ও কালভার্টের আংশিক ভাঙা থাকার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া প্রতিবেদনে হাটিকুমরুল-নগরবাড়ি, বগুড়া-রংপুর, লালমনিরহাট-বুড়িমারী, রাজশাহী- নাটোর, নাটোর-বগুড়া, ঢাকা-বরিশাল, চুকনগর-খুলনা, ঢাকা-খুলনা, খুলনা- মংলা, যশোর-নড়াইল-ফানা, কুষ্টিয়া- রাজবাড়ী, দৌলতদিয়া-কুষ্টিয়া ও কুষ্টিয়া- খুলনা মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কের ২৪টি রাস্তার কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *