মিরপুরে জঙ্গি প্রশিক্ষক মুরাদ নিহত

Slider জাতীয় ফুলজান বিবির বাংলা

 

30075_lead
ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে পুলিশের অভিযানে জঙ্গি ‘মেজর মুরাদ’ নিহত হয়েছে। জঙ্গির হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে রূপনগর থানার ওসি সৈয়দ শহীদ আলম ও পরিদর্শক তদন্ত শাহীন ফকির ও এসআই মোমেনুর রহমান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দুই ওসিকে স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তাদের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও জোনের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার। নিহত জঙ্গি মুরাদ এর পরিচয়ের বিষয়ে রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সে নারায়ণগঞ্জে অভিযানে নিহত তামিম চৌধুরীর সহযোগী এবং নব্য জেএমবি’র সামরিক শাখার প্রধান। গুলশান ও শোলাকিয়া হামলায় জড়িতদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল সে। তার নাম মুরাদ ওরফে মেজর মুরাদ।
রাত পৌনে ১২টার দিকে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মোখলেছুর রহমান অভিযান সমাপ্ত হয়েছে জানিয়ে বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রূপনগর থানা পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করে। ওই এলাকার ৩৩ নম্বর সড়কের ৩৪নম্বর বাসায় সে অবস্থান করছে এমন তথ্য নিশ্চিত করার পর অভিয়ান চালালে সে (জঙ্গি) ঘর থেকে বের হয়ে আসে এবং পুলিশের ওপর আক্রমন চালায়। তার হাতে অস্ত্র ছিল। সেই অবস্থায় পুলিশ পাল্টা আক্রমণ করলে সে নিহত হয়। এ অভিযানে রূপনগর থানার ওসি ও ওসি তদন্ত এবং একজন এসআই আহত হন। নিহত জঙ্গির পরিচয় সম্পর্কে তিনি বলেন, এখনও পুরো পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে সে নব্য জেমমবির সদস্য এটুকু নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহত জঙ্গির হাতে পিস্তল ও ছুরি ছিল বলে জানান তিনি।
এদিকে অভিযান শুরুর পর ৩৩ নম্বর সড়কের আশপাশে ভিড় করে সাধারণ মানুষ। নিরাপত্তার স্বার্থে ৩২নম্বর সড়কে চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। রাত ১২টার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। ঘটনার পরপরই পুলিশ এবং র‌্যাবের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। আশপাশের এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। মধ্য রাতের পর নিহত জঙ্গির লাশ মর্গে নেয়ার জন্য একটি এম্বুলেন্সও সেখানে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাতুল জানান, গত ২৮শে আগস্ট এই এলাকায় অভিযান হয়েছিল। ভোরবেলা এ অভিযান চলে। তবে কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
এদিকে ঘটনাস্থলে ঢাকা মহানগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার শেখ মো. মারুফ হাসান জানান, নিহত জঙ্গি পহেলা জুলাইয়ে পরিবারসহ বাসা ভাড়া নিয়েছিল বলে তারা তথ্য পেয়েছেন। তবে অভিযানের সময় বাসায় পরিবারের কেউ ছিল না। সে পুলিশের সন্দেহভাজন জঙ্গির তালিকায় ছিল।
গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার ‘হোতা’ তামিম চৌধুরী গত ২৭শে আগস্ট নারায়ণগঞ্জে পুলিশি অভিযানে নিহত হয়। গত ১লা জুলাই গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২২ জন নিহত হন। সেখানে অভিযানে ছয় জঙ্গি নিহত হয়। এর পর কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানে নয় জঙ্গি মারা যায়। তামিম নিহত হওয়ার পর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, গুলশান হামলায় জড়িত এমন আরও অন্তত আটজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *