শ্রীপুরে কোরবানির ৪০ হাজার পশু মোটাতাজাকরণ

Slider গ্রাম বাংলা

 

cow-2- (1)

 

রাতুল মন্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরে আসছে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে প্রাই চল্লিশ হাজার পশু মোটাতাজাকরণ করার কর্মব্যস্ততা চলছে। এ ঈদকে ঘিরে প্রধান ব্যস্ততাই থাকে পছন্দের পশু কোরবানি করা । এক পৌরসভা ও আট ইউনিয়নের প্রত্যেক গ্রামেই রয়েছে কোরবানির গরু মোটাতাজাকরণের কর্ম্যস্ততা। মানবস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ উপায়ে কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণে বিপ্লব ঘটাবে খামারিরা । যা উপজেলার কোরবানির পশুর চাহিদা পূরন করেও পাশ্ববর্তী কয়েকটি জেলা উপজেলার পশুর চাহিদা পূরনে বড় ভুমিকা রাখবে । স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ গুমাংস উৎপাদনে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস। এ কাজে বেকারত্ব ঘুচবে কয়েক হাজার লোকের । আয় হবে সংসারে দূর হবে অভাব অনটন ।

প্রাণিসম্পদ অফিস জানায়, এ বছরে পৌর শহর সহ আরো আটটি ইউনিয়নে কোরবানির ঈদে কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে পঁচিশ হাজার । এর মধ্যে গরু পনের-আঠার হাজার,মহিষ চার হাজার, ছাগল ভেড়া সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজার । প্রত্যেক বছরই এই চাহিদার পরিমান বাড়ছে । কোরবানির ঈদকে ঘিরে প্রতি বছরই পশু মোটাতাজাকরনে মৌসুমি খামারিরা থাকে মহা ব্যস্ত । গত কয়েক বছর খামারিরা লাভের মুখ দেখায় আরো আগ্রহী হয়ে উঠছে পশু মোটাতাজাকরণে । এ কারনে ছোট, বড়,মাঝারি মাপের অনেক গরুর খামার গড়ে উঠেছে । কেউ দুই থেকে তিনটি আবার কেউ পাঁচ থেকে পঞ্চাশটি করে গরু পালন করছে। নিয়মিত স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে চলছে পশুর পরিচর্যা,মোটাতাজাকরণ ।
এ দিকে সবচেয়ে বেশি পশু পালন হচ্ছে কাওরাইদ,প্রহল্লাদপুর ও গাজীপুর ইউনিয়নে। সব মিলিয়ে নিরাপদ স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে প্রাই চল্লিশ হাজারের বেশি পশু মোটাতাজাকরণ চলছে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ।

কাওরাইদ ইউনিয়নের সোনাব গ্রামের এক্সপার্ট ফার্মের ম্যানাজার সাহাব উদ্দিন বলেন গত দুই তিন বছর ধরে পশু (গরু) মোটাতাজাকরন করে বেশ লাভবান হচ্ছে প্রান্তিক খামারিরা। এবার আমাদের ফার্মে ২২ টি গরু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে । নিরাপদ স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশু পালনে নিয়মিত মনিটরিং করে পশু হাসপাতাল।

বরমী ইউনিয়নের গোলাঘাট গ্রামের খামারি জাফর মিয়া জানান, আড়াই থেকে তিন মাসেই সহজ উপায়ে গরু মোটাতাজা করা সম্বব । প্রথমেই কৃমিমুক্ত করা, নিয়মিত খাবার পদ্ধতি (ইউএমএস) ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্রো প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন, স্বাস্থ্যসম্মত ওষুধ ব্যবহার করেই সুস্থ্য স্বাস্থবান পশু তৈরী করা যায় ।

শ্রীপুর উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. আশরাফ হোসেন জানান, গত দুই তিন বছর ধরে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গুমাংস উৎপাদনে খামারিদের নিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি । ঈদে কোরবানির হাটগুলো নিয়মিত মনিটরিং করা হয় । কোন কোন ওষুধ মানব দেহের জন্য ঝুঁকিপুর্ন, কোন ওষুধ স্বাস্থ্যস্ম¥ত এ সব বিষয়ে নিয়মিত পরামর্শ নিচ্ছে খামারিরা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবদুল জলিল জানান, উপজেলায় ৪০ হাজার কোরবানির পশু পালিত হচ্ছে গ্রামের ঘরে ঘরে । নিজস্ব চাহিদা পূরন করেও আশপাশের উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা পূরনে ভুমিকা রাখবে এ অঞ্চলের পশু খামারিরা । ঈদে নিরাপদ গুমাংস উৎপাদনে আমরা বদ্ধপরিকর । উপজেলায় এ ঈদে নিরাপদ স্বাস্থসম্মত উপায়ে পশু পালনে একটা অনন্য বিপ্লব ঘটবে ।

গাজীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অখিল চন্দ্র জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার জেলায় নিরাপদ পশু পালন বেশি হয়েছে । খামারিদের সচেতন করতে নিয়মিত সভা সেমিনারের মাধ্যমে উদ্ধুদ্ধকন করায় এটা সহজ হয়েছে । অল্প সময়ে বেকার যুবক যুবতীরা অধিক অর্থ উপার্জন করতে পারে, গরু মোটাতাজাকরণ করে,কৃষি অর্থনীতিতেও রাখতে পারে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *