১৫ই জুলাইয়ের রাত। একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান তার রাডারে ওঁৎ পেতেছিল। বিমানটি লক্ষ্য রাখছিল তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমান টিসি-এটিএ’র দিকে। কিন্তু এফ-১৬’র পাইলট হঠাৎ খেয়াল করেন তার বিমানটিতে পর্যাপ্ত জ্বালানি নেই। তাই তার পক্ষে আততায়ীর ভূমিকা পালন করা আর সম্ভব হলো না।
আর সেটাই ছিল সেই হিরম্ময় মুহূর্ত, যা প্রেসিডেন্ট এরদোগানের জীবন ও ক্ষমতা দু’টোই বাঁচিয়ে দিয়েছিল। আর সামরিক অভ্যুত্থানের ব্যর্থতা নিশ্চিত করেছিল। ‘আমি যদি আর অতিরিক্ত ১০ বা ১৫ মিনিট বেশি সময় মারমারিসে অপেক্ষা করতাম, তাহলে আমি নিহত কিংবা আমাকে জিম্মি করা হতো।’ সম্প্রতি ফ্রেঞ্চ২৪ডটকমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান কিভাবে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিলেন, তার বিবরণ দেন। তিনি বলেন, ঘটনার দিন খুব সকালে অভ্যুত্থান সমর্থক সৈন্যরা যখন তাঁর রিসোর্টে হামলা চালায়, তখন তাঁর দু’জন দেহরক্ষী নিহত হয়।
এরদোগান তথ্য প্রকাশ করেন যে, তাঁর অনুগত সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেই তুরস্কের সকল সামরিক ঘাঁটির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল। এমনকি আইসিসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশরত মার্কিন নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশনের ব্যবহূত বিমান ঘাঁটি, যেটি দক্ষিণাঞ্চলীয় ইনকিরলিকে অবস্থিত সেখানেও আলো নিভিয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন করা হয়। যাতে ষড়যন্ত্রকারীরা আবার এই ঘাঁটি কোনোভাবে ব্যবহার করতে না পারে।
প্রেসিডেন্ট তাঁর বিশেষ সাক্ষাৎকারে এটাও প্রকাশ করেন যে, তাঁকে বহনকারী বিমানটি ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর অবতরণের কথা ছিল। সে কারণে অভ্যুত্থানকারী সৈন্যরা কিছুক্ষণের জন্য হলেও ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক বিমানবন্দরের কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সম্পুর্ণরূপে গ্রহণ করেছিল। এরপর ক্যু প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পটভূমিতে তিনি যখন রাজধানীতে ফিরে আসেন, তখন একই বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে ১০ হাজার সমর্থকের সমাগম ঘটেছিল।
ইস্তাম্বুলে ফিরে আসার সময় আকাশপথে তাঁর অবধারিত মৃত্যু থেকে তিনি রেহাই পান, আবার এই ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই তিনি যে হোটেলটি ছেড়ে আসেন, সেখান থেকে বেরুতে আর কয়েক মিনিট বিলম্ব করলেও তিনি নিহত হতে পারতেন।
মুগলা প্রদেশের কাছে দালামান বিমানবন্দর থেকে ১টা ৪৩ মিনিটে তাঁকে বহনকারী বিমানটি ছেড়ে আসে আতাতুর্ক বিমানবন্দরের উদ্দেশে। মুগলার মারমারিস রিসোর্টে গ্রীষ্মকালীন অবকাশযাপন শেষে তিনি ফিরছিলেন রাজধানীতে।
আকাশেই ঘাতক এফ-১৬ এর খবর পেয়ে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমানটি গতিপথ পরিবর্তন করে এবং কিছু পরে তার অনুগতবাহিনী নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিলে আবার সেটি ইস্তাম্বুলের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়।
তবে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছেন, উপকূলবর্তী মারমারিস শহরটি ত্যাগের কিছু পরে শহরটির কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে অভ্যুত্থানকারীরা আঘাত হানে। তিনটি মিলিটারি হেলিকপ্টার থেকে স্বপক্ষত্যাগী ২৫ জন সৈনিক প্রেসিডেন্টকে তাঁর হোটেলে, যেখানে তিনি বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, সেখানে তাঁকে হত্যা করতে অভিযান চালিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী বিনালিকে হত্যা করতেও চেষ্টা চালানো হয়েছিল কিন্তু তিনিও নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হন।
আর সেটাই ছিল সেই হিরম্ময় মুহূর্ত, যা প্রেসিডেন্ট এরদোগানের জীবন ও ক্ষমতা দু’টোই বাঁচিয়ে দিয়েছিল। আর সামরিক অভ্যুত্থানের ব্যর্থতা নিশ্চিত করেছিল। ‘আমি যদি আর অতিরিক্ত ১০ বা ১৫ মিনিট বেশি সময় মারমারিসে অপেক্ষা করতাম, তাহলে আমি নিহত কিংবা আমাকে জিম্মি করা হতো।’ সম্প্রতি ফ্রেঞ্চ২৪ডটকমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান কিভাবে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিলেন, তার বিবরণ দেন। তিনি বলেন, ঘটনার দিন খুব সকালে অভ্যুত্থান সমর্থক সৈন্যরা যখন তাঁর রিসোর্টে হামলা চালায়, তখন তাঁর দু’জন দেহরক্ষী নিহত হয়।
এরদোগান তথ্য প্রকাশ করেন যে, তাঁর অনুগত সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেই তুরস্কের সকল সামরিক ঘাঁটির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল। এমনকি আইসিসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশরত মার্কিন নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশনের ব্যবহূত বিমান ঘাঁটি, যেটি দক্ষিণাঞ্চলীয় ইনকিরলিকে অবস্থিত সেখানেও আলো নিভিয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন করা হয়। যাতে ষড়যন্ত্রকারীরা আবার এই ঘাঁটি কোনোভাবে ব্যবহার করতে না পারে।
প্রেসিডেন্ট তাঁর বিশেষ সাক্ষাৎকারে এটাও প্রকাশ করেন যে, তাঁকে বহনকারী বিমানটি ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর অবতরণের কথা ছিল। সে কারণে অভ্যুত্থানকারী সৈন্যরা কিছুক্ষণের জন্য হলেও ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক বিমানবন্দরের কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সম্পুর্ণরূপে গ্রহণ করেছিল। এরপর ক্যু প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পটভূমিতে তিনি যখন রাজধানীতে ফিরে আসেন, তখন একই বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে ১০ হাজার সমর্থকের সমাগম ঘটেছিল।
ইস্তাম্বুলে ফিরে আসার সময় আকাশপথে তাঁর অবধারিত মৃত্যু থেকে তিনি রেহাই পান, আবার এই ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই তিনি যে হোটেলটি ছেড়ে আসেন, সেখান থেকে বেরুতে আর কয়েক মিনিট বিলম্ব করলেও তিনি নিহত হতে পারতেন।
মুগলা প্রদেশের কাছে দালামান বিমানবন্দর থেকে ১টা ৪৩ মিনিটে তাঁকে বহনকারী বিমানটি ছেড়ে আসে আতাতুর্ক বিমানবন্দরের উদ্দেশে। মুগলার মারমারিস রিসোর্টে গ্রীষ্মকালীন অবকাশযাপন শেষে তিনি ফিরছিলেন রাজধানীতে।
আকাশেই ঘাতক এফ-১৬ এর খবর পেয়ে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমানটি গতিপথ পরিবর্তন করে এবং কিছু পরে তার অনুগতবাহিনী নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিলে আবার সেটি ইস্তাম্বুলের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়।
তবে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছেন, উপকূলবর্তী মারমারিস শহরটি ত্যাগের কিছু পরে শহরটির কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে অভ্যুত্থানকারীরা আঘাত হানে। তিনটি মিলিটারি হেলিকপ্টার থেকে স্বপক্ষত্যাগী ২৫ জন সৈনিক প্রেসিডেন্টকে তাঁর হোটেলে, যেখানে তিনি বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, সেখানে তাঁকে হত্যা করতে অভিযান চালিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী বিনালিকে হত্যা করতেও চেষ্টা চালানো হয়েছিল কিন্তু তিনিও নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হন।