লাইফ সাপোর্টে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বাদী

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

26604_pic-Bsmmu

 

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বাদী এএফএম মহিতুল ইসলাম মহিত বর্তমানে লাইফ সাপোর্টে (কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে) রয়েছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কেবিন ব্লকের আইসিউতে চিকিৎসাধীন আছেন। তার চিকিৎসায় গঠন করা হয়েছে নয় সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড। বোডের সদস্যরা হলেন-কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জি, এনেসথেসিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক, নিউরোমেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া, নেফ্রোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, অ্যান্ডোক্রাইনোলজি মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন, মেডিসিন (রেসপাইরেটরি উইং) বিভাগের অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, নেফ্রোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আছিয়া খানম, ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ এবং অ্যানেসথেসিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. একেএম কামরুল হুদা। এছাড়াও অ্যানেসথেশিয়া, অ্যানালজেশিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক, সহযোগী অধ্যাপক ডা. একেএম কামরুল হুদা ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মনোতোষ কুমার ম-ল তার চিকিৎসার জন্য সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছেন।  বুধবার সকালে বিএসএমএমইউ’র ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান তাকে দেখতে যান। তার সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, প্রো-ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আলী আসগর মোড়ল, অ্যানেসথেশিয়া, অ্যানালজেশিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক। অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক গণমাধ্যমকে জানান, এএফএম মহিতুল ইসলাম বর্তমানে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে আছেন। তার কিডনির কার্যকারিতা প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। যে কারণে তাকে একদিন পর পর ডায়ালাইসিস দেয়া হচ্ছে, একই সঙ্গে তার ফুসফুসের সংক্রামক (নিউমোনিয়া) মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। যা কোনো জীবাণুনাশকেই ভালোভাবে কাজ করছে না। এছাড়া তার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা অনেকটাই ডায়ালাইসিসের ওপর নির্ভরশীল বলে জানান দেবব্রত বণিক। মহিতুল ইসলাম কিডনির সমস্যা নিয়ে বিএসএমএমইউ’র নেফ্রোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলমের অধীনে ভর্তি হন। পরবর্তীতে তাকে এ বিশ্বিবিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের আইসিউতে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার উন্নতি হলে কেবিনে নেয়া হয়। এরপর তার অবস্থার অবনতি হলে আবার তাকে আইসিইউতে নেয়া হয় এবং বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মহিতুল ইসলামের একমাত্র কন্যা বাঁধন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা দেশবাসীর কাছে তার জন্য দোয়া চাই। তিনি যেন সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন। তার সুস্থতার জন্য সবাই দোয়া করবেন। প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালের ২রা অক্টোবর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা দায়ের করেন বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী এই এএফএম মহিতুল ইসলাম মহিত। এদিকে, রাতে তাকে দেখতে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে আসেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এএফএম মহিতুল ইসলাম মহিত প্রসঙ্গে রাত ৯টা ৭ মিনিটের সময়ে বিএসএমএমইউ’র ভিসি মানবজমিনকে বলেন, তার অবস্থা ভালো না। অ্যান্টিবায়োটিকেও কাজ করছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *