কানাডার অন্টারিওতে এক নারী সেদেশের এক নারী সেনা সদস্যাকে যৌন নির্যাতন করেছেন বৃটিশ সেনাবাহিনীর সিনিয়র এক কর্মকর্তা। এমন অভিযোগ ওঠার পর তদন্ত শুরু হয়েছে। তাতে অভিযোগের স্বপক্ষে বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় ওই সেনা সদস্যকে তার পাসপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। এতে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ওই সেনা সদস্যের নাম লেফটেন্যান্ট কর্নেল ক্রিস্টোফার ডেভিস (৪৫)। তিনি গত ১০ই এপ্রিল কানাডায় এক কানাডিয়ান নারী সেনার (৫২) পিছু নেন। এ দিনটির একেবারে সূচনালগ্নের দিকে ওই নারী সদস্যা একটি বার থেকে বেরিয়ে তার হোটেলে যাচ্ছিলেন। তার পিছু নিয়ে হোটেলে চলে যান ডেভিস। সেখানে তার রুমে তার ওপর যৌন নির্যাতন চালান বলে ওই নারী অভিযোগ করেন পুলিশ ও গোয়েন্দাদের কাছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে চ্যালেঞ্জিং সফরে আফগানিস্তানে মারসিয়ান রেজিমেন্টের তৃতীয় ব্যাটালিয়নের কমান্ডার ছিলেন ডেভিস। এখন তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাতকার নেয়া হচ্ছে। তদন্তকারীরা বলেছেন, তারা অভিযোগ বিশ্বাস করার মতো কিছু তথ্যপ্রমাণ পেয়েছেন। এ জন্য ডেভিসকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। তিনি গত ২রা আগস্ট কিংস্টোন পুলিশ প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে হাজির হন। এরপর যৌন নির্যাতনের একটি অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, ওই যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে ফোর্ট ফ্রোন্টেনাকে এ বছর ৯ই এপ্রিল দিবাগত মধ্যরাতের কিছু পরে। সেটা ছিল ১০ই এপ্রিলের একেবারে সূচনা। তখন সেনাবাহিনীর একটি অনুষ্ঠান থেকে বের হন ৫২ বছর বয়সী ওই নারী। তিনি অন্য অতিথিদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন ওই অনুষ্ঠানে। সেখানে সাক্ষাত হয় ৪৫ বছর বয়সী ক্রিস্টোফার ডেভিসের সঙ্গে। অনুষ্ঠান শেষে তিনি বার থেকে কাছেই তার হোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা করেন। কিন্তু তার পিছু নেন ডেভিস। তার কক্ষে প্রবেশ করে যৌন নির্যাতন চালান। এ অভিযোগ করার পর ডেভিসকে তার পাসপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। আরও বলা হয়, অন্টারিওতেই অবস্থান করতে। এদিকে মামলা ওঠে আদালতে। সেখানে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা ১৫ই সেপ্টেম্বর। আইনী প্রক্রিয়া চলমান বলে এ বিষয়ে মুখ খুলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র। তিনি বলেছেন, কিংস্টোন পুলিশ এ বছরের এপ্রিলের একটি অভিযোগ তদন্ত করছে বলে আমরা জানি। এতে বৃটিশ সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা অভিযুক্ত।