ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা সীমান্তে শুক্রবার ভোরে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীর (বিএসএফ) গুলিতে আলম হোসেন (২৬) নামে এক বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন। নিহত আলম আলমডাঙ্গা উপজেলার যাদবপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ গামার ছেলে। তারা বাবা মহেশপুরের বাঘাডাঙ্গা গ্রামের নয়ঘড়িপাড়ায় ঘরজামাই থাকতেন। আলমের সাথে রমজান আলী (৪৫) নামে তার এক সহযোগী গুলিবিদ্ধ হয়ে যশোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঝিনাইদহের খালিশপুর ৫৮ বিজিবির পরিচালক লে. কর্ণেল তাজুল ইসলাম তাজ বাংলাদেশী নিহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। নিহত আলমের লাশ রাতেই আলমডাঙ্গা উপজেলার যাদবপুর গ্রামে নেয়া হয়েছে। খালিশপুর ৫৮ বিজিবির পরিচালক তাজুল ইসলাম তাজ জানান, শুক্রবার ভোরের দিকে নিহত আলমসহ একদল চোরাকারবারী মহেশপুরের ইছামতি নদী পার হয়ে ভারতের নদীয়া জেলার বরণবাড়িয়া এলাকায় ঢুকে পড়ে। এ সময় ভারতের টহল বিএসএফ তাদের বাঁধা দিলে তারা সে দেশের এক বিএসএফ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় বরণবাড়িয়া বিএসএফ ক্যাম্পের জোওয়ানরা ছুটে এসে গুলি চালালে আলম আহত হন। সহযোগীরা তাকে ধরে বাংলাদেশের মধ্যে আনার পথে তিনি মারা যান বলে সীমান্ত এলাকার সুত্রগুলো নিশ্চিত করেছেন। বিএসএফর গুলিতে রমজান আলী নামে আরেক বাংলাদেশী আহত হন বলে জানা গেছে। তাকে যশোরের একটি হাসপাতালে গোপনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিজিবি-৫৮ ব্যাটেলিয়ানের পরিচালক তাজুল ইসলাম আরো জানান, এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বিজিবি ও বিএসএফ এর মধ্যে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টায় বাঘাডাঙ্গা সীমান্তের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে নিহত আলমের পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, ভারতের কেরালায় তিনি কাজ করতেন। শুক্রবার ভোরের দিকে তিনি চোরাইপথে বাড়ি আসছেলেন। শনিবার রাত ৩টার দিকে বরণবাড়িয়া বিএসএস ক্যাম্পের সদস্যদের সাথে আলমের তার ধ্বস্তা ধ্বস্তির এক পর্যায়ে তাকে গুলি করে। এলাকাবাসি জানায়, চোরাচালান ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত আলমের বাবা আব্দুস সামাদ গামাও একাধিকবার পুলিশ ও র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। মহেশপুর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জানান, নিহত আলমের লাশ উদ্ধারের জন্য পুলিশ আলমডাঙ্গায় রওনা হয়েছে। মহেশপুরের বাঘাডাঙ্গা সীমান্ত এলাকায় থমথমে ভাব বরাজ করছে।