জাপানি মিডিয়ায় মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দরপত্র স্থগিতের খবর, বাস্তবায়ন সংস্থার অস্বীকার

Slider ফুলজান বিবির বাংলা বাংলার মুখোমুখি

file

 

নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থাকায় জাপানের বিপুল অর্থায়নে নির্মিতব্য মাতারবাড়ি বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মানের দরপত্র বাংলাদেশ স্থগিত করেছে বলে খবর বেরিয়েছে জাপানের মিডিয়ায়। সূূত্রের বরাতে এ খবর দিয়েছে দেশটির বার্তাসংস্থা কিয়োডো ও জাপান টাইমস। এতে বলা হয়েছে, এ মাসে ঢাকায় সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যেখানে ৭ জাপানি জিম্মিও নিহত হয়।
তবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সংস্থা কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কাশেম বিদেশ থেকে টেলিফোনে অনলাইন সংবাদ মাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, স্থগিত না, সময় বাড়ানো হয়েছে। সময় বাড়ানো, এটা নরম্যাল প্রসিডিউর। এই পরিস্থিতিতে তারা বলেছে, সময় দিতে হবে। একমাস সময় দিয়েছি। ২৪ জুলাই ছিল, এটা বাড়িয়ে ২৪ আগস্ট করেছি। এটা স্থগিতের কিছু বিষয় না।
অন্যদিকে, জাপানি মিডিয়ার খবরে বলা হয়, অত্যধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিতব্য মাতারবাড়ি বিদ্যুতকেন্দ্রের দরপত্র প্রক্রিয়া জুলাইয়ের শেষ নাগাদ চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ কাজের জন্য যে জাপানি কো¤পানিগুলো দরপত্রে অংশ নিয়েছে, তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বাংলাদেশ সরকার দরপত্র প্রক্রিয়া স্থগিত করার এ পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রায় ৬৭০ কোটি ডলার বা ৫২ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিতব্য এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৮০ শতাংশ অর্থায়ন করার কথা জাপানের। বাংলাদেশের জন্য এটি হবে জাপানের সবচেয়ে বড় সরকারী (ওডিএ) অর্থায়নে নির্মিত প্রকল্প। ওই সূত্রগুলো জানিয়েছে, দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে দরপত্র প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু হবে।
২৪ই জুলাই চুড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল দরপত্র প্রক্রিয়া। তোশিবা কর্পোরেশন ও মিতসুবিশি হিটাচি পাওয়ার সিস্টেমস লিমিটেড সহ জাপানি কো¤পানিগুলোর দুইটি গ্রুপ এ দরপত্রে অংশ নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। এ প্রকল্পের আওতায় মাতারবাড়িতে ৬০০ মেগাওয়াটের দু’টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মান ও কয়লা আনা-নেয়ার জন্য একটি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মানের কথা রয়েছে। ২০১৪ সালে এ নির্মান পরিকল্পনায় সম্মত হয় দু’ দেশ। বর্তমান শিডিউল অনুযায়ী, প্রথমে বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মান স¤পন্ন হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *