৬ মাসের মধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচন

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

file

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে দেশের জেলা পরিষদগুলো প্রশাসকের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এখন কিছু আইনের পরিবর্তন-পরিবর্ধন দরকার হলেও সংসদের এই সেশনে করা সম্ভব হচ্ছেনা। প্রয়োজনে অর্ডিন্যান্স জারি করে আমরা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাব। আগামী ৬ মাসের মধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।

বুধভার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদকক্ষে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের ষষ্ঠ কার্য অধিবেশন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। স্থানীয় সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের এ কার্য অধিবেশনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সভাপতিত্ব করেন।
সরকারমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দেশের জেলা পরিষদগুলো প্রশাসকের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। প্রশাসক হিসেবে সরকারদলীয় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি বলেন, এ মন্ত্রণালয়ের পরিধি প্রতিটি গ্রামে। ১৬ কোটি লোক এর সঙ্গে জড়িত। এ মন্ত্রণালয় সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ন্ত্রণ করে। তাদের উন্নয়ন সহায়তা দেয়। এটি ব্যাপক পরিধির মিনিস্ট্রি। তবে ডিসিদের প্রশ্ন ও উত্তর থেকে একটা জিনিস পরিস্কার আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা পজিটিভলি এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতিতে জীবন আসছে, গতি আসছে।
মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন বলেন, এখন গ্রামীণ চাহিদার মাত্রাও পরিবর্তন হয়েছে। আগে তারা রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ কালভার্টের কথা বলত। এখন বলে খাম্বার কথা। খাম্বা মানে বিদ্যুৎ। গ্রামীণ অর্থনীতি যে এগিয়ে যাচ্ছে তা জনগণের ডিমান্ড থেকেই বোঝা যায়। এ সব বিষয়ে আলোচনা হল। তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে একজন কেরাণী ও চেয়ারম্যান ছিল। আর ছিল কয়জন চৌকিদার। এখন তারা ইউনিয়ন পরিষদে একজন করে উপ-সহকারী প্রকৌশলী চাচ্ছে। তার মানে কর্মপরিধি বাড়ছে। উন্নয়নের গতি এতটা বাড়ছে যে তারা ওখানে একজন টেকনিক্যাল লোক চাচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদে উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ দেয়া হবে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, না, এখন দেওয়া সম্ভব নয়।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে স্বপ্ন ২০২১ সালের মধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে যাব, এটা কিন্তু একটা এ্যাচিব্যাবল টার্গেট। আমরা এ টার্গেটের কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। ডিসি মহোদয়দের সঙ্গে আলোচনা করে এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে সুনির্দিষ্ট ধারণা আমি পেয়ে গেছি। তিনি বলেন, ডিসিদের প্রতি আমাদের ক্লিয়ার ইন্সট্রাকশন এই যে, উন্নয়নের ধারা শুরু হয়েছে এতে ডিসিদের সম্পৃক্ত হতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে তাদের মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে হবে। প্রত্যেকটি ইউনিয়ন কাউন্সিলে তারা যাবেন, ইনকোয়ারি করবেন কাজকর্ম ঠিকমতো করছেন কিনা। আর সন্ত্রাসী ক্রিয়া-কর্ম যাতে কোনোভাবে স্থান না পায় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, বলতে কোনো দ্বিধা নেই আমাদের অপজিশন (বিএনপি) সব সময় বলছে গুম করছে, সরকারই গুম করছে। গুম যে তারা নিজেরাই হচ্ছে এ সম্পর্কে কোনো সন্দেহ রইল না। তাদের দাবি গুমের হিসাব দিতে হবে। গুমের সাথে যে ওনারা জড়িত এটা তো প্রমাণ হয়ে গেছে।

 

– See more at: http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/139502#sthash.LTOxcjtE.dpuf

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *