তুরস্কে জরুরি অবস্থা জারি

Slider সারাবিশ্ব

a7478d2be456e559b0506d16e60d5094-Erdogan

তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানচেষ্টার পরিপ্রেক্ষিতে তিন মাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এরদোয়ান গতকাল বুধবার জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেন।

এর আগে রাজধানী আঙ্কারায় দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন এরদোয়ান।

জরুরি অবস্থা জারি করার মতো পদক্ষেপ নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, তুরস্কের গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও জনগণের স্বাধীনতার প্রতি হুমকির বিরুদ্ধে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়াই জরুরি অবস্থা জারির উদ্দেশ্য।

আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট প্যালেসে এরদোয়ান বলেন, জরুরি অবস্থা তিন মাস থাকবে। এই পদক্ষেপের ফলে অভ্যুত্থানচেষ্টায় জড়িত ব্যক্তি ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিতে পারবে সরকার।

সরকারি গেজেট প্রকাশিত হওয়ার পর জরুরি আইন কার্যকর হবে।

সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে থাকা সব ‘ভাইরাস’ সাফ করার অঙ্গীকার করেছেন এরদোয়ান। অভ্যুত্থানচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদের শহীদ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। সরকারি হিসাবে, অভ্যুত্থানচেষ্টা প্রতিরোধ করতে গিয়ে অন্তত ২৪৬ জন নিহত হয়েছেন।

অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পর সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, বিচার বিভাগ, প্রচারমাধ্যম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপকভিত্তিক শুদ্ধি অভিযান চালানো হচ্ছে। জরুরি অবস্থায় এই অভিযান আরও জোরদার হবে বলে মনে করা হচ্ছে। জরুরি অবস্থা জারির আগে এরদোয়ান নিজেও তার ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, অভিযান এখনো শেষ হয়নি।

দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, সামরিক অভ্যুত্থানচেষ্টায় কোনো না কোনোভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রায় ৬০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক, বহিষ্কার বা সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এরদোয়ানের সরকারকে উৎখাত করতে গত শুক্রবার রাতে ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টা হয়। এ সময় সেনাবাহিনীর বিদ্রোহী অংশ ও এরদোয়ান-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০৪ সেনাসদস্যসহ প্রায় ৩০০ লোক প্রাণ হারান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *