তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের সন্দেহভাজন প্রবাসী ফেতুল্লাহ গুলেনকে ফেরত পাঠানোর জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। এ কথা বলেছেন তুরস্কে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জন ব্যাস। ওদিকে তুরস্কের মিডিয়ায় ও লোকমুখে খবর ছড়িয়ে পড়েছে যে, ব্যর্থ ওই অভ্যুত্থানে সমর্থন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। তবে এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন জন ব্যাস। তুরস্কের একটি পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ জানাচ্ছে, এ বিষয়ে দূতাবাসের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, অভ্যুত্থান চেষ্টার তদন্তে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। যদি আইনগত সব শর্ত পূরণ করা হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র যেকাউকে (বিশেষ করে গুলেনকে) হস্তান্তর করার বিষয় বিবেচনা করবে। জন ব্যাস তার বিবৃতিতে আরও বলেন, এ সপ্তাহান্তের ঘটনা আমাদের সবার জন্যই গভীর বিরক্তির। তুরস্কে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত সরকারকে সহিংসতার মধ্য দিয়ে উৎখাতের যে চেষ্টা করা হয়েছে, তাতে যেসব প্রাণহানী ঘটেছে সে জন্য আমরা তুরস্কের বন্ধুদের সঙ্গে শোক প্রকাশ করছি। আধুনিক গণতান্ত্রিক সমাজে অভ্যুত্থানের কোন স্থান নেই। তুরস্কের জনগণ এই সহিংস হস্তক্ষেপের সমাধান যেভাবে করেছেন এবং তারা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি যে সমর্থন দেখিয়েছেন তাতে আমি উচ্ছ্বসিত। অভ্যুত্থান চেষ্টার শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে মিত্র দেশ তুরস্কেরর প্রতি শক্ত সমর্থন দিয়ে আসছে। সবার আগ্ইে প্রেসিডেন্ট ওবামা তুরস্কে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাভভুসোগলুর কাছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি নির্বাচিত, বেসামরিক সরকার ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তবে কিছু রিপোর্ট ও কিছু লোক অভিযোগ করেছেন ব্যর্থ এই অভ্যুত্থানে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছিল। এ অভিযোগ পূর্ণাঙ্গরূপে মিথ্যা। এমন অভিযোগ দু’দেশের মধ্যে কয়েক দশক ধরে যে বন্ধুত্বর্পূ সম্পর্ক তা ক্ষতিগ্রস্ত করবে।