তুরস্কের সেনা প্রধান কোথায়!

Slider টপ নিউজ

22794_Turkey-1

 

সেনাবাহিনীর একাংশ বলছে তারা তুরস্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। অন্যদিকে সরকার বলছে, সেনা অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। এখনও গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক বিমানবন্দর এখন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাতে এখান থেকে বিমানের উড্ডয়ন বাতিল করা হয়েছিল। পরে স্থানীয় সময় ভোর ৬ টায় তা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে অবকাশ যাপন থেকে ছুটে এসেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগান। তিনি ইস্তাম্বুলে বিমানবন্দরের ভিতরে অবস্থান করেই বক্তব্য রেখেছেন। সেনাদের এমন কর্মকা-কে তিনি রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলে আখ্যায়িত করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বলেছেন, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে কঠোর পরিণাম ভোগ করতে হবে। সরকার অভিযান ব্যর্থ বললেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিমান বন্দর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন নি প্রেসিডেন্ট এরদোগান। বাইরে থেকে ট্যাংক ওই বিমানবন্দর ঘিরে রেখেছে। অভ্যুত্থানকারীরা সিনিয়র বেশ কিছু সেনা কর্মকর্তাকে জিম্মি করেছে। দেশটির সেনা প্রধান কোথায় তাও জানা যাচ্ছে না। তার অধীনস্ত সেনারা এমন কা- ঘটিয়ে ফেললেও এখন পর্যন্ত তার অবস্থান কোথায় বা তার পক্ষ থেকে কোন বিবৃতি পাওয়া যায় নি। তবে কি তিনিও অভ্যুত্থানকারীদের ‘জিম্মি’তে পরিণত হয়েছেন! এমন জিজ্ঞাসা জনে জনে। বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রেসিডেন্ট এরদোগান যখন টেলিভিশনে সরাসরি বক্তব্য রাখঠিলেন তখন তিনি ছিলেন সমর্থক পরিবেষ্টিত। তার নিরাপত্তা রক্ষার জন্য তার সামনের টেবিলের ওপর দিয়ে লাফিয়ে অন্য পাশে অবস্থান নিতে দেখা যায় তাদেরকে। তুরস্কের প্রসিকিউটর অফিস বলেছে, রাজধানী আঙ্কারায় রাতভর সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এর বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বলেছেন, পরিস্থিতি প্রায় তাদের নিয়ন্ত্রণে। আটক করা হয়েছে ১৩০ জনকে। অভ্যুত্থানকারীদের ব্যবহৃত আকাশযানকে গুলি করে ভূপাতিত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এর আগেই একটি হেলিকপ্টারকে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে আঙ্কারায়। ইস্তাম্বুলের তাকসিম স্কোয়ারের কাছে তীব্র বিস্ফোরণ হয়েছে। বিস্ফোরণ হয়েছে পার্লামেন্ট ভবনে। এ সময় সেখানে অবস্থানরত এমপিরা আত্মগোপন করতে বাধ্য হন। অনলাইন সিএনএন খবর দিয়েছে, বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে প্রেসিডেন্টের বাসভবনেও। সিএনএনের ব্রডকাস্টার সিএনএন তুর্ক দখল করেছে সেনারা। কিছু সময়ের জন্য তাদের সম্প্রচার বিঘিœত হয় এ জন্য। ওদিকে সব পক্ষকে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের পক্ষে সমর্থন দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বেসামরিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন। তুরস্কের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি পূর্ণ সম্মান দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে ন্যাটো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *