কিভাবে এই পথে গেল আমরা খোঁজ করছি: নর্থসাউথের ভিসি

Slider শিক্ষা

22056_ati

 

 

 

 

 

শোলাকিয়ার ঈদ জামাতে হামলাকারী ও নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. আবীর কিভাবে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে গেল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি প্রফেসর আতিকুল ইসলাম। আজ সোমবার রাজধানীর বসুন্ধরায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ভিসি বলেন, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম এসেছে। যেসব ঘটনায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আসছে,  সেসব ক্ষেত্রে উগ্রবাদের একমাত্র উপাদান এই বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে না। এখানে একজন শিক্ষার্থী সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৯ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় কাটান। তার বাইরে যে সময়টা আছে,  সেটি তিনি বিভিন্ন জায়গায় পার করছেন। ইলেকট্রনিক মিডিয়া আছে, ইন্টারনেট আছে, সেগুলোর মাধ্যমে এসব কর্মকাণ্ডে তাঁদের আরও বেশি উদ্বুদ্ধ হওয়ার সুযোগ রয়েছে। গুলশানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় জিম্মি অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া প্রকৌশলী হাসনাত করিম সম্পর্কে আতিকুল ইসলাম বলেন, ২০১২ সালের আগস্টে পারিবারিক ব্যবসার সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতা বাড়াতে চানÑ এ বিষয় উল্লেখ করে এই প্রতিষ্ঠান থেকে অব্যাহতি নেন হাসনাত করিম। তার বিরুদ্ধে ওই সময় কোন অভিযোগ ছিল না। এরপর গত চার-পাঁচ বছর তিনি কি করেছেন, কাদের সঙ্গে  যোগাযোগ ছিল, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের জানার কথা নয় বলেও তিনি দাবি করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র নিবরাস ইসলামের বিষয়ে ভিসি বলেন, ‘২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে বিবিএর শিক্ষার্থী ছিল নিবরাস। সে তিনটি  সেমিস্টার সম্পন্ন করে। এরপর সে মালয়েশিয়ায় চলে যায়। এরপর  থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। শোলাকিয়ায় হামলার ঘটনায় যে ছাত্রটির কথা বলা হচ্ছে, সে আমাদের ছাত্র। তাকে আমরা অস্বীকার করতে পারছি না। আমরা খোঁজ করছি, কিভাবে সে এই পথে গেল। অনিয়মিত ছাত্রের কোন তালিকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ করেছে কি না, এ সম্পর্কে ভিসি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র খুলেছে। বিভিন্ন বিভাগের কাছে এ ব্যাপারে তথ্য চাওয়া হয়েছে। শিগগিরই সমন্বিত তথ্য পাওয়া যাবে। নানা কারণে ছাত্ররা অনিয়মিত হন। পারিবারিক ব্যবসা, অসুস্থতা বা অর্থসংকটের কারণে এমনটা হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ছাড়া কোন ছাত্র আর সেমিস্টার গ্যাপ দিতে পারবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *