দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করে ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেছেন। তিনি পরিস্থিতি ঘোলাটে করে ক্ষমতায় যেতে চান। তিনিই দেশবিরোধী ও সরকারবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।’
শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত এক যৌথ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, সরকার জনগণের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। উগ্রবাদ দেশে এখন ডালপালা বিস্তার লাভ করেছে। তিনি দাবি করেন, সরকার নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে জঙ্গিবাদকে উসকে দিচ্ছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, বর্তমান দেশের মানুষের নিরাপত্তা নেই। একের পর এক জঙ্গি হামলা হচ্ছে। মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। এ সরকার নিরাপত্তা দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ হচ্ছে। যখনই দেশে কোনো নাশকতা কিংবা জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে তখনই প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের অন্য মন্ত্রীরা এ দায় বিএনপির ওপর চাপাতে চায়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের প্রধান দুই দলের অবস্থান কি তা স্পষ্ট হয়ে আছে ওই দুই নেতার বক্তব্য থেকে। ফলে বুঝা যায়, চিরায়ত ঐতিহ্যৃ বজায় রাখতেই তারা টার্গেট কিলিংকে গুরুত্ব না দিয়ে ক্ষমতাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।
ইতিহাস বলছে, আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে যেমন জঙ্গী হামলা হয়েছে তেমনি বিএনপির সময়ও জঙ্গী হামলা হয়েছে। পার্থক্য শুধু জঙ্গী হামলাকারী নিহত হয়েছেন বিএনপির সময় কম। তবে দুটি সরকারই জঙ্গী হামলা বন্ধে কাজ করেছে ও করছে। তাহলে জঙ্গী হামলা মোকাবেলায় এক সঙ্গে কাজ করতে বাঁধা কোথায়? আওয়ামীলীগের বক্তব্য ধরেই বলা যেতে পারে, বিশ দলীয় জোটের সঙ্গে নয় বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করা তো যায়! তা না করে এখন পরিস্থিতিকে পুুঁজি করে ক্ষমতার লড়াই শুরু হয়েছে। এটা বন্ধ হওয়ায় উচিত। জাতীয় ইস্যুতে একমত এখন জরুরী।