ফস্কে গেল। এ বারও দশম শ্রেণির গণ্ডি পেরোনো হল না ৮২ বছরের শিব চরণের। সালটা ১৯৬৯। প্রথমবার রাজস্থান বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশনের পরীক্ষায় বসেন শিব। সেই শুরু। তার পর থেকে এই নিয়ে ৪৭ বার পরীক্ষা দিলেন তিনি। কিন্তু লক্ষ্যভেদ এখনও হল না।
তবে হাল ছাড়ার পাত্র তিনি নন। আসলে, কম বয়সে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, পরীক্ষায় পাশ না করলে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন না। এক্কেবারে ধনুক ভাঙা পণ। তাই এত বছরেও ছাদনাতলামুখো হননি শিব।
রাজস্থানের বেহরোর শহরের কোহারি গ্রাম। সেখানেই একটা মন্দির আপাতত মাথা গোঁজার ঠাঁই এই বৃদ্ধের। সরকারি পেনশনই ভরসা। বয়স বাড়ছে। দৃষ্টি শক্তি কমেছে, কানেও আজকাল শুনতে কষ্ট হয়, হাঁটতে চলতে সমস্যা। কিন্তু এ সব কিছু ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। ১৯৯৫ সালে আর সব বিষয়ে পাশ করলেও গোল বেধেছিল অঙ্কে। আর এ বার? পাশ করতে পারেননি একটা বিষয়েও। বেশির ভাগ বিষয়েই জুটেছে শূন্য!
১৯ বার ঘায়েল হয়ে থেমেছিল গঙ্গারাম। পাত্রীও সম্ভবত জুটে গিয়েছিল। কিন্তু এত সহজে থামছেন না শিব চরণ। জানিয়ে দিলেন, আগামী বছর পরীক্ষায় বসবেন আবার। আর সে বার না পারলে তার পরের বছরও…। তাঁর একটাই চিন্তা— ‘‘যত দিন বাঁচব, পরীক্ষা দিয়েই যাব। না হলে বিয়ের পিঁড়িতে বসব কী করে!’’
সুত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা