ঢাকা : রহমত দশকের শেষ দিন আজ বৃহস্পতিবার। আগামীকাল থেকে শুরু হবে মাগফিরাতের দশ রোজা। রহমতের এ দশকে আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে রহমত অর্জনের তওফিক যাদের হয়েছে, তারা খুবই ভাগ্যবান। মহান আল্লাহ আমাদের মাগফিরাতের দিনগুলোতে জীবনের সব গুনাহ মাফ করিয়ে নেয়ার তওফিক দান করুন। মাহে রমজানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল দান-খয়রাত করা। আজ এ বিষয়ে কিছুটা আলোকপাত করা হলো।
নবী করিম (সা.) পবিত্র রমজান মাসে অধিক হারে এবং বিপুল পরিমাণে সদকা দিতেন। ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) মানুষের মধ্যে সর্বাধিক দানশীল ছিলেন। রমজানে তিনি আরো বেশি দানশীল হতেন, যখন হজরত জিব্রাইল (আ.) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ হতো। রমজানে হজরত জিব্রাইল (আ.) রাসুল (সা.) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন। জিব্রাইলের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে রাসুল (সা.) মুক্ত বায়ুর চেয়েও বেশি কল্যাণময় দানশীল হতেন। মুক্ত বায়ুর কল্যাণ যেমনি পৌঁছে যায় সবার কাছে, রাসুলের দানও পৌঁছে যেত সবার কাছে নির্বিশেষে।
তাই রাসুলের উম্মতের প্রতিটি ব্যক্তির পরম আকাঙ্ক্ষা ও আগ্রহের বিষয় হওয়া উচিত এ মাসে অধিক হারে সাধ্যমতো দান-সদকা-খয়রাত করা, গরিব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানো, আত্মীয়স্বজনের খবরাখবর নেয়া। সবার সঙ্গে ভালো বিনম্র ব্যবহার করা। বিশেষ করে নিজের অধীনস্তদের সঙ্গে সদাচরণ করা। যে কোনো মুসলমান ভাইয়ের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল মুখে কথা বলা। কারণ এ কাজগুলোকে হাদিসে সদকা বলা হয়েছে।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, এ মাস সবরের মাস। এ মাসে যারা নিজের অধীনস্তদের কাজ কমিয়ে দেবে আল্লাহ তায়ালা তাদের মাগফিরাত করে দেবেন।
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, সদকা আল্লাহর ক্রোধ নিবারণ করেন এবং নিকৃষ্ট মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন। (তিরমিজি)
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, কিয়ামতের দিন সদকা মুমিনের জন্য ছায়া হিসেবে কাজ করবে। (আহমদ)।
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, এক টুকরো খেজুর সদকা করে হলেও তোমাদের এবং জাহান্নামের মাঝে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করো।
অনেকে এ মাসে জাকাত আদায় করে থাকে। শুধু জাকাত আদায়কে তারা যথেষ্ট মনে করেন। অথচ রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, তোমাদের সম্পদে জাকাত ছাড়াও কিছু হক থেকে যায়। অর্থাৎ এমন ব্যক্তি, যারা জাকাত নিতে পারবে না, তাদের জাকাত ছাড়া সাধারণভাবে দান করা। আল্লাহ তায়ালা সবাইকে এমন সাধ্যমতো দান করার তওফিক দান করুন।