গুপ্তহত্যা করে কেউ পার পাবে না: প্রধানমন্ত্রী

Slider জাতীয়

 

08-06-16-pm_parliament-7-(2_217108

 

 

 

 

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে একের পর এক গুপ্তহত্যা ঘটিয়ে এখন যারা পরিবারের ক্ষতি করতে শুরু করেছে, তাদের কেউ পার পাবে না। গুপ্তহত্যা করে যারা দেশের মানুষের ক্ষতি করছে, পরিবারের ক্ষতি করছে তার হিসাব আমরা পাই পাই করে নেব।

হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, এভাবে যদি কেউ পরিবারের ওপর হাত দিতে শুরু করে তাহলে কিন্তু অন্য কারো হাতও থেমে থাকবে না। জনগণকে থামিয়ে রাখা যাবে না।

চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী হত্যার প্রসঙ্গে বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকারদলীয় সাংসদ ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির সম্পূরক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা এখন পুলিশের পরিবারের ওপর হাত দিয়েছে। তারা হত্যা করছে, তাদের গ্রেফতার করা হবে। তারা কি ভুল যাচ্ছে যে তাদেরও পরিবার আছে? তারা আঘাত করছে, অন্য দিক থেকেও আঘাত আসতে পারে।

এসব ঘটনার পেছনে বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধনের ইঙ্গিত দিয়ে সংসদ নেতা বলেন, তারা ২০১৩ সালে জ্বালাও-পোড়াও করেছে। ২০১৫ সালে টানা তিন মাস আন্দোলনের সময় পুড়িয়ে মানুষ মেরেছে। কিন্তু গণরোধের কারণে বিরত হয়েছে। এখন দেখতে পাচ্ছি গুপ্তহত্যার পথ বেছে নেওয়া হয়েছে। মসজিদের ইমাম, প্যাডোগা ও মন্দিরের পুরোহিত, গির্জার ফাদারের ওপর হামলা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে শিক্ষককে হত্যা করা হচ্ছে। পুলিশ অফিসার যিনি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন, তার স্ত্রীকে কিভাবে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।  সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। তাদের হত্যার ধরনও একই রকম। তারা ঠিক একই জায়গায় কোপ দেয়। একইভাবে গুলি করে ‍মারে। হত্যাকারীদের বিচার এই বাংলার মাটিতে হবেই হবে। তাদের প্রভু যারাই হোক তাদেরও আমরা রেহাই দেবো না।

বিরোধদলীয় সংসদ সদস্য ফকরুল ইমামের এক সম্পূরক প্রশ্নে জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষকে সম্মানজনক অবস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছি। অতীতে বিদেশিরা বাংলাদেশের মানুষকে অবহেলা করাতো। তারা বলতো, ওটা একটি গরিব দেশ, প্রতি বছর ওখানে দুর্যোগ হয়। আজকে সেই অবস্থা থেকে বাংলাদেশকে একটি সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যেতে পেরেছি। আমার জীবনের চাওয়া-পাওয়া কিছু নেই। আমার যা কিছু অর্জন, তা দেশবাসীর জন্য উৎসর্গ করে যাবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *