বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। এটি হচ্ছে দেশের ৪৫তম ও আওয়ামী লীগ সরকারের ১৭তম ও অর্থমন্ত্রী মুহিতের দশম বাজেট।
একইসঙ্গে এটি আওয়ামী লীগ সরকারের বর্তমান মেয়াদে তৃতীয় ও মুহিতের টানা অষ্টম বাজেট। অর্থমন্ত্রী হিসেবে টানা আটটি বাজেট দেওয়ার রেকর্ড বাংলাদেশে এই প্রথম। এরশাদ সরকারের আমলে দু’বার বাজেট দিয়েছিলেন মুহিত।
প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান সবচেয়ে বেশি ১২টি বাজেট দিলেও তা একটানা ছিল না। তবে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া একাধারে ছয়টি বাজেট দেন।
চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায়ের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল এক লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী ইতোমধ্যেই আভাস দিয়েছেন, আগামী ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটের আকার হবে ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে কয়েকটি মেঘা প্রকল্পের জন্য বিশেষ বরাদ্দ থাকবে ও উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি পাবে।
২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম-আয়ের দেশে রূপান্তর করতে সরকারের লক্ষ্য অর্জনে বাজেটে কিছু বিশেষ বরাদ্দ থাকছে। সরকার যাতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আরও রাজস্ব সংগ্রহ করতে পারে ও বাজেট ঘাটতি ৫ শতাংশের মধ্যে রাখা হয়, সে লক্ষ্যে বাজেটে নতুন ভ্যাট আইন ও কাস্টম আইন কার্যকর এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকাণ্ড অটোমেশনের মাধ্যমে রাজস্ব বোর্ডের আরও সংস্কারের প্রস্তাব থাকছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে সম্ভাব্য করদাতাদের করের আওতায় এনে রাজস্ব আয় বাড়ানোর কৌশল থাকছে। বর্তমানে ১৭ লাখ টিআইএন-ধারী রয়েছেন। তাদের মধে ১২ লাখ আয়কর বিবরণী জমা করেছেন। আগামী চার বছরের মধ্যে সক্রিয় করদাতা সংখ্যা ৩০ লাখ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এবারও বিগত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে অর্থাৎ পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী।
এছাড়া অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইটে (www.mof.gov.bd) পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া পূর্ণাঙ্গ বাজেট সরকারি ওয়েবসাইট www.bangladesh.gov.bd, www.nbr-bd.org, www.plancomm.gov.bd, www.imed.gov.bd, www.pressinform.portal.gov.bd, www.pmo.gov.bd এ পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়া অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইটে (www.mof.gov.bd) বাজেটের সব তথ্যাদি ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল দেশে-বিদেশের যে কোনো ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠান বাজেট ডাউনলোড করতে পারবে এবং এই সাইটের মাধ্যমে ফিডব্যাক ফরম পূরণ করে বাজেট সম্পর্কে মতামত ও সুপারিশও পাঠাতে পারবেন।
অর্থমন্ত্রী শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে করবেন।