বজ্রপাতে প্রাণ হারালো আরো ছয়জন

Slider জাতীয়

 

2016_05_13_08_22_24_T80BrolEjRPdT30kEHOMAh3IU7zp1r_original

 

 

 

 

ঢাকা: বাংলাদেশে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশই বেড়ে চলছে। সম্প্রতি একদিনে সারাদেশে ৪১ জনের মৃত্যুর নতুন ‘রেকর্ড’ সৃষ্টি হয়। মাঝখানে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও আজ দেশের দুই জেলায় বজ্রপাতে ফের প্রাণ গেল ছয়জনের।

গাজীপুরের কালীগঞ্জে তিন মাছ ব্যবসায়ীসহ চারজন এবং ঝিনাইদহে গৃহবধূসহ এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনজন।

আজ (সোমবার) দুপুরে গাজীপুরের কালীগঞ্জে বজ্রপাতে চাচা-ভাতিজাসহ চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে ওই চারজনের মরদেহ উদ্ধার করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের কাপাইস গ্রামের কৈদ্যার (কাপাইস) বিলে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের কাপাস গ্রামের মুকুন্দ চন্দ্র দাস (৫৬) ও তার ভাতিজা সুধন চন্দ্র দাস (৫২), সিংলাবহ গ্রামের নীরু চন্দ্র দাস (৩৫) এবং পৃথক ঘটনায় নিহত শ্রীপুর উপজেলার বৈরাগীচালা গ্রামের জহুর আলীর ছেলে ইন্নছ আলী।

জামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান ফারুক মাস্টার জানান, নিহতরা পেশায় মূলত মাছ ব্যবসায়ী। তারা উপজেলার কৈদ্যার (কাপাইস) বিলে মাছ চাষ করতেন। দুপুরে তাদের খামারে মাছের খাবার দিতে যান। এসময় বৃষ্টি হওয়ায় বিলের মধ্যে পাহারার জন্য তৈরি করা ছোট্ট একটি ঘরে তিনজনই আশ্রয় নেন। এ সময় ওই ঘরের ওপর বজ্রপাত হলে তিনজনই নিহত হন। বিলের মাঝখানে হওয়ায় বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে কেউ টের পাননি।

প্রায় একই সময় পার্শ্ববর্তী শ্রীপুর উপজেলায় ইন্নছ আলী নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টির সময় মাঠে গরু আনতে গেলে বজ্রপাতে তিনি নিহত হন।

একই দিন বিকেলে ঝিনাইদহের মহেশপুরে বজ্রপাতে আরো দু’জন প্রাণ হারিয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো তিনজন। মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার বিকেলে মহেশপুর উপজেলার নালপাতুয়া ও দাসপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, মহেশপুর উপজেলার নলপাতুয়া গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী রায়না খাতুন (৩৫) ও নস্তি-দাসপাড়ার অরবিন্দ কুমারের ছেলে প্রশান্ত কুমার (১২)। আহতরা হচ্ছে, ময়না খাতুন (৫৫), সান্ত্বনা খাতুন (১০) ও নাজিম উদ্দিন (১০)।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশাফুর রহমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *